আগৈলঝাড়ায় ধান কাটতে আসছে বাইরের শ্রমিক

|| অনলাইন প্রতিনিধি, বরিশাল ||

অন্যবারের মত এবারেও আগৈলঝাড়ায় বোরোধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনাবিপর্যয়ে কৃষকরা পড়েছেন শ্রমিকসংকটে। যথাসময়ে ধান কাটতে না পারলে তাদের কাছে সমূহ ক্ষতির কারণ হয়ে উঠবে এই বাম্পার ফলন। স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, তারা অন্য জেলা থেকে সরকারী ব্যবস্থাপনায় শ্রমিকদের ধান কাটতে আগৈলঝাড়ায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নাসির উদ্দিন বলেন, বাম্পার ফলনের পরেও করোনা মোকাবেলায় লকডাউনের কারনে দেশের অন্যান্য বছরের মতো অন্য জেলা থেকে পর্যাপ্ত শ্রমিক না আসতে না পারায় ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। তবে সরকারী ব্যবস্থাপনায় ফরিদপুর, খুলনা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ি, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিক আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সেক্ষেত্রে ইচ্ছুক শ্রমিকদের নিজ নিজ উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে ধান কাটতে আসার প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে। ওই প্রত্যয়নপত্র সাথে নিয়ে শ্রমিকেরা তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অথবা কন্ট্রাক্ট মালিকের ব্যবস্থাপনায় আগৈলঝাড়ায় আসতে পারবেন। ধান কাটতে আসা শ্রমিকদের করোনা ঝুঁকি এড়িয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় থাকার জন্য বন্ধ স্কুলগুলো ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা মনিটরিং করতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, পুলিশ বাহিনীর সদস্য ও চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেন, আগৈলঝাড়া উপজেলায় ধান কাটা শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে ৩ হাজার ৫শ’ জন। ইতোমধ্যেই ৫শ শ্রমিক ধান কাটতে এলাকায় এসে পৌঁছেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে ফসল কাটার ভরা মৌসুম শুরু হবে। মৌসুম শুরুর মধ্যেই কৃষকের চাহিদামত শ্রমিক আগৈলঝাড়ায় এসে পৌঁছবে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

উপজেলার কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে মোট ৯ হাজার ৫শ হেক্টর জমি ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৪৫০ হেক্টর। চাষ করা জমির মধ্যে ৮ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও ৬০০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফসী) বোরো ধান চাষ হয়েছে। উপজেলায় উৎপাদনের লক্ষ ঠিক করা হয় ৪৯ হাজার ৮০৮ টন।

উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র মন্ডল জানান, ২৩শে এ্রপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষি কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উপজেলার রাজিহার গ্রামের কৃষক জেমস মৃদুল হালদারের ব্রি-ধান ৫৮ এর বীজ উৎপাদন প্রদর্শনী ক্রপ কাটিং করা হয়েছে। ওই ক্রপ কাটিংএ হেক্টর প্রতি সাড়ে ৭ মেট্টিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে বলে জানান তিনি। যা বাম্পার ফলন হিসেবে ধরা হয়।#

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন