|| সারাবেলা প্রতিনিধি, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) ||
কিছুদিন আগেও বাতাসের দুলকানিতে দুলছিলো আমনের সোনালী ধান। এই ধান গোলায় তুলতেই বুরোর বীজতলা আর শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন কৃষকরা। তাই কৃষকের ঘামের দামে এখন আনোয়ারার মাটি সেজেছে নানান শীতকালীন সবজিতে। মাঠে মাঠে ওকি দিচ্ছে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন। প্রকৃতি সেজেছে এক অপরূপ সৌন্দর্যে। আমনের ধান কাটার পর ও বোরো ধানের চারা রোপনের মধ্যবর্তী সময়টাকে কাজে লাগাতে কৃষকেরা আবাদ করেন শীতকালীন এসব সবজি।
এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। উপজেলার বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে ফুলকপি,বাঁধাকপি,বরবটি,সিম,টমেটো,পালংশাক,লালশাক,ফুইশাক,শসা,লাউ, বাদাম,মরিচ সহ নানান রকমের সবজি চাষ হয়েছে।
এই বছর সবজির ফলন ভালো ও ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় ব্যাপক লাভবান হয়েছে কৃষকেরা। সবজি চাষ করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। সবজি চাষের মাধ্যমে কৃষকেরা যেমন উপকৃত হচ্ছে তেমনি আনোয়ারার সবজির চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সরে জমিনে দেখা যায়, উপজেলার বরুমচড়া,জুঁইদন্ডী,বারখাইন, তৈলারদ্বীপ,হেটিখাইন,বটতলী,বারশত,রায়পুর ইউনিয়ন ও ফকিরার চর নামে পরিচিত সাঙ্গু নদীর তীরে সবজি চাষের ধুম পড়েছে। বরুমচড়া ও আইরমঙ্গল গ্রামের বিস্তৃর্ণ জমি জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় এসব সবজি উপজেলার পাইকারী ব্যবসায়ীরা মাঠ থেকে সবজি ক্রয় করে টলি, সিএনজি, মিনি ট্রাকের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে নিয়ে যায়।
উপজেলার ১০নং হাইলধর ইউনিয়নের ফকিরার চরের কৃষক মুস্তাক জানান, এই বছর ১বিঘা জমিতে মৌসুমি সবজির চাষ করেছেন তিনি।তার জমিতে ফুলকপি,বাঁধাকপি,মুলা,শসা ও সিমের আবাদ করেছেন তিনি।সবজি চাষ ভালো হওয়ায় আশানরূপ দামও পাবেন বলে আশাবাদি তিনি।
উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের সবজি চাষিরা জানান,এই বছর সবজি চাষে ফলন ভালো হয়েছে।সবজি চাষ করে আর্থিক স্বচ্ছলতা পেয়ে আনন্দিত তারা।তাদের সফলতায় অনেকে আগ্রহ দেখাচ্ছেন এই পেশায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, এ বছর ১২৩৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে।প্রযুক্তি ব্যবহার,বীজ,কীটনাশক ও পরমার্শ দিয়ে কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদ করতে আগ্রহী করে তোলাই এবারে সবজির ফলন অনেক ভালো হয়েছে।