|| অনলাইন প্রতিনিধি, ভালুকা (ময়মনসিংহ) ||
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক বা জন দূরত্ব মেনে চলতে বলা হলেও ভালুকার হাটবাজারগুলোতে মানুষের উপস্থিতি আগের মতই। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ১৪ই এপ্রিল ভালুকাসহ গোটা ময়মনসিংহ জেলাকে লকডাউন করেছে প্রশাসন।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হাট-বাজারগুলোতে নিত্যপণ্য কেনার জন্য ৬ থেকে ৮ ঘন্টা খোলা রাখার নিয়ম করে দিয়েছে ভালুকা উপজেলা প্রশাসন। এই সুযোগে মানুষ স্বাভাবিক সময়ের মতই যাচ্ছেন হাটে-বাজারে। উপজেলার মল্লিকবাড়ী বাজার, স্কয়ার মাস্টারবাড়ী বাজার ও পৌরসভার টিসিবি পণ্য কেনার জন্য হুমুড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। মানছে না সামাজিক দূরত্ব।
উপজেলা প্রশাসন থেকে ঘরে থাকা আর সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বলা হলেও তার তোয়াক্কা করছেন না কেউই। এতে বাড়ছে সংক্রমণঝুঁকি।
উপজেলার পৌরশহরের তুলনায় গ্রামের ছোটখাটো হাটবাজার, সিডস্টোর, মাষ্টারবাড়ী ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেই মানুষের উপস্থিতি বেশী। লকডাউন অমান্য করে চলছে ছোট গাড়ি। যদিও এসব নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন, পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছে।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের উদ্যোগে কাঁচাবাজার ও অন্যান্য পণ্য বেচাকেনার জন্য খোলা জায়গায় স্কুলমাঠে বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে মানুষের সামাজিক দূরত্ব কিছুটা বজায় থাকছে। তবে অনেক জায়গায় চায়ের দোকানের পাশাপাশি নিষিদ্ধ অন্যান্য দোকানও নিয়মিত খোলা রাখছে অনেকেই।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আমরা কঠোরভাবে কাজ করছি। মানুষকে বুঝিয়ে ঘরে রাখার চেষ্টা করছি। এখন সন্ধ্যার পর তেমন মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। আমরা উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষনিক কাজ করছি।
ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদ কামাল জানান, আমরা আমাদের সাধ্যমতো সেনা, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্নয়ে কাজ করছি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য। কিন্তু আমরা একদিকে গেলে অন্য দিকের অবস্থা আগের মতোই হয়ে যাচ্ছে। এজন্য মানুষের সহায়তা লাগবে।’
তিনি আরও জানান, প্রতিদিনই বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। একাধিকবার সর্তক করার পরও মানুষ কথা না শোনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানাও করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলায় ৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন একজন। ভালুকায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২ জন।