|| সারাবেলা প্রতিনিধি , সুনামগঞ্জ ||
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে দৈনিক সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রেসক্লাব সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেনকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান ২ আসামীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার ১৫ই মার্চ বিকেলে সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড আদালতে ওই ২ আসামী হাজির হলে ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মিয়া তাদের জামিন নামমঞ্জুর করে কারাঘারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামীরা হলেন, তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গাগটিয়া গ্রামের যাদুকাটা নদীর অবৈধ বালি ও পাথর ব্যবসায়ী মাহমুদ আলী শাহ (৪০) ও তার সহযোগী একই গ্রামের দিন ইসলাম (৩৫)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১লা ফেব্রুয়ারি দুপুরে জেলার তাহিরপুর সীমান্ত নদী যাদুকাটার তীর কেটে অবৈধ ভাবে বালি ও পাথর উত্তোলন করছিল বালু ও পাথর ব্যবসায়ী মাহমুদ আলী শাহ, তার চাচাতো ভাই হাবিব সারোয়ার আজাদ মিয়া, দিন ইসলাম গং।
এই খবর পেয়ে সাংবাদিক কামাল ঘটনাস্থলে গিয়ে ফটো তুলতে চাইলে তাকে আটক করে মারধর করে উপরের উল্লেখিত বালু ও পাথর খেকো সন্ত্রাসীরা। পরে নির্যাতিত সাংবাদিক কামালকে নদীর তীর থেকে টেনে হেচড়ে পাশ্ববর্তী গাগটিয়া চকবাজারে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে মোবাইলে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে সাংবাদিক কামালকে উদ্ধার করে। কিন্তু মোবাইল, ক্যামেরা ও মোটর সাইকেল সন্ত্রাসীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এঘটনার সাংবাদিক কামাল বাদী হয়ে যাদুকাটা নদীর বালি ও পাথর খেকো সন্ত্রাসী মাহমুদ আলী শাহ, রইস উদ্দিন, দীন ইসলাম, মুশাহিদ তালুকদার ও মনির উদ্দনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত আরো ৫জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি দায়েরের পর প্রভাবশালী আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে আবারও দাপটের সাথে যাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালি ও পাথর উত্তোলন করাসহ গভীর গর্ত করে অর্ধশতধিক পাথর কোয়ারী তৈরি করে।
এব্যাপারে কামাল হোসেন বলেন, যাদুকাটা নদী তীর কেটে ও কোয়ারী তৈরি করে বালি-পাথর বিক্রি করে যারা অবৈধ ভাবে কোটিকোটি টাকার মালিক হয়েছে তাদেরকে এখনও পর্যন্ত আইনের আওতায় নেওয়া হয়নি। তারা আমাকে নির্যাতন করেও ক্ষান্ত হয়নি। নতুন করে কিভাবে আবার হয়রানি করা যাবে তার জন্য দিনরাত গোপনে মিটিং করছে বালি ও পাথর খেকো সন্ত্রাসীরা। সেজন্য আমি নিরাপত্তহীতায় ভুগছি।