করোনায় বাড়ছে শনাক্ত মৃত আরো ১৯

প্রাথমিকভাবে দেশের দশটি জেলায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হবার পর থেকেই বাড়ছে করেনাভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা। গেলো চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে আরো এক হাজার ৮৮৪ জন। মারা গেছেনন ১৯ জন।

|| সারাবেলা প্রতিবেদন ||

প্রাথমিকভাবে দেশের দশটি জেলায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হবার পর থেকেই বাড়ছে করেনাভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা। গেলো চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে আরো এক হাজার ৮৮৪ জন। মারা গেছেনন ১৯ জন। শুক্রবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৮৮৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৯ জন হয়েছে। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৯ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ৯৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন আরও ৩ হাজার ৮৬৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ১৪ হাজার ৩১৮ জন হয়েছে।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৬তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩২তম অবস্থানে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ই মার্চ, তা সাড়ে ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৪শে নভেম্বর। এর মধ্যে গত ২রা জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ই মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৬শে নভেম্বর তা সাড়ে ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০শে জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এদিকে বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৬ কোটি ৯৬ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৫ লাখ ৮৩ হাজার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১২টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ১৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ১০টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৪০টি ল্যাবে ১৬ হাজার ৩২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৯ লাখ ৪৪ হাজার ২৫২টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ লাখ ৫৪ হাজার ৪২২টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮৩০টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ আর নারী ৬ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জন করে মোট ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ১২ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ৩ জন রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ৯৮৬ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৩৩৯ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৬৪৭ জন নারী।

তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৭৫৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৭৯৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮৩৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৫৬ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৩ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৯৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৩০১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪১৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫০৫ জন খুলনা বিভাগের, ২৩০ জন বরিশাল বিভাগের, ২৭৩ জন সিলেট বিভাগের, ৩১৩ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৫২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন