|| অনলাইন প্রতিনিধি, বরিশাল ||
জেলার সকল আবাসিক শিক্ষার্থীদের বাসাভাড়া মওকুফের প্রজ্ঞাপন জারি ও সরকারি বরাদ্দ দেয়া, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক বছরের বেতন-ফি মওকুফ এবং পর্যাপ্ত আয়োজন ছাড়া অনলাইন ক্লাস নেয়া বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বরিশাল জেলা শাখা।
বুধবার স্থানীয় অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্তরে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই লকডাউনের সময় যে ছাত্ররা বিভিন্ন জেলায় আটকে আছে তাদের জন্য এই সময়ে মেসভাড়া বা বাসাভাড়া দেয়াটা একটা আর্থিক চাপ। অবিলম্বে ছাত্রদের মেসভাড়া মওকুফ করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং এজন্য সরকারি বরাদ্দ দিতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, যেহেতু অভিভাবকরাই ছাত্রদের বেশিরভাগ খরচ দেন এবং তারাও এই লকডাউনের সময় অর্থনৈতিক সংকটে আছেন, তাই এক বছরের জন্য শিক্ষার্থীদের সকল বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে।
অনলাইন ক্লাসের নামে ভাল ইন্টারনেট ব্যবস্থা বা সেটা ব্যবহার করার অর্থনৈতিক সামর্থ্য আছে এমন স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের বেতন আদায় করার এক প্রহসন শুরু করেছে জানিয়ে বক্তারা অবিলম্বে সকল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে অনলাইন ক্লাস বাতিল এবং অবিলম্বে অনলাইন ক্লাস নেয়ার জন্য সারাদেশে পর্যাপ্ত আয়োজন করার দাবি জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র ফ্রন্ট জেলা শাখার আহবায়ক সাগর দাস। মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আহমেেদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ জেলার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলার সাবেক সভাপতি সন্তু মিত্র, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মহানগর শাথার দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, পাঠাগার সম্পাদক রেজওয়ান আহমেদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সংগঠক ইমদাদুল হক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ইসলামিয়া কলেজ শাখার সংগঠক ইমদাদুল হক ইমন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের স্কুল সংগঠক সাজিদা হাসান ফারাবি, লিমা আক্তার প্রমুখ।