অবশেষে স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমেই নির্মিত হচ্ছে সাঁকো

সাঁকো তৈরিতে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে ট্রাস্ট ফান্ড বাংলাদেশ ও এসকেএস ফাউন্ডেশন। বাঁশ-কাঠের ৩ শ' ফুট দৈর্ঘ্যের সাঁকো নির্মাণে কষ্ট ঘুঁচতে যাচ্ছে এলাকার সাত হাজার মানুষের। শুধু ট্রাস্ট ফান্ড বাংলাদেশ কিংবা এসকেএস ফাউন্ডেশন নয়, সাঁকোটি নির্মাণে অবদান রাখছেন স্থানীয়রাও। কেউ দিয়েছেন বাঁশ, কেউ দিয়েছেন টাকা, আবার কেউ কেউ দিয়েছেন শ্রম। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সাঁকো নির্মাণ করছেন তারা।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা ||

দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্র ও সরকারসংশ্লিষ্টদের কাছে ধরনা দিয়েও লাভ না হওয়ায় এবার নিজেরাই তৈরি করছেন তিস্তা নদীর বুড়াইল খালের সেতু। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের মানুষের অনেক দিনের দাবি ছিল বুড়াইল খালের উপর একটি সেতু বানিয়ে দিক সরকার। কিন্তু তাতে কোন গা করেনি তারা। অবশেষ এগিয়ে এলো এলাকার ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবি।

সাঁকোটি নির্মাণ শেষ হলে সবার কস্ট লাঘব হবে জানিয়ে স্থানীয় মকবুল হোসেন বলেন, ছেলে-মেয়েরা নদীর ওপারে স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করে। সাঁকো না থাকায় তারা কলাগাছের ভেলায় করে যাতায়াত করে। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কায় থাকতে হয়। সাঁকোটি নির্মাণ শেষ হলে ছেলে- মেয়েরা নিরাপদে স্কুল-কলেজে যেতে পারবে।

সাঁকো তৈরিতে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে ট্রাস্ট ফান্ড বাংলাদেশ ও এসকেএস ফাউন্ডেশন। বাঁশ-কাঠের ৩ শ’ ফুট দৈর্ঘ্যের সাঁকো নির্মাণে কষ্ট ঘুঁচতে যাচ্ছে এলাকার সাত হাজার মানুষের। শুধু ট্রাস্ট ফান্ড বাংলাদেশ কিংবা এসকেএস ফাউন্ডেশন নয়, সাঁকোটি নির্মাণে অবদান রাখছেন স্থানীয়রাও। কেউ দিয়েছেন বাঁশ, কেউ দিয়েছেন টাকা, আবার কেউ কেউ দিয়েছেন শ্রম। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সাঁকো নির্মাণ করছেন তারা।

এসকেএস ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেন, বন্যার্তদের জন্য এসকেএস ফাউন্ডেশন নিরলস কাজ করছে। সাঁকোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে এলাকার মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ কমবে।

বাঁশ-কাঠের এ সাঁকো নির্মাণ হলে উন্মুক্ত হবে সাত হাজার মানুষের যাতায়াত। উৎসব মুখর পরিবেশে চলছে সাঁকো নির্মাণের কাজ। কেউ বাঁশ কাটছেন, কেউ কাঠে পেরেক মারছেন, কেউ আবার পানিতে নেমে মাটির নিচে খুঁটি পুঁতে দিচ্ছেন।

গত বছর বন্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর বুড়াইল খালের বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে স্থানীয়রা। এ পথে চলাচল করে খোর্দ্দা, চরর্খোদ্দাসহ বিভিন্ন গ্রামের কয়েকশত শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৭ হাজার মানুষ। সাঁকো না থাকায় তাদের ঝুঁকি নিয়ে কলাগাছের ভেলায় নদী ও খাল পার হতে হয়। বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিশু ও বৃদ্ধদের।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন