|| সারাবেলা ডেস্ক ||
বিশ্বজুড়ে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের বেশির ভাগের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে না কোন উপসর্গ। সংশ্লিষ্টরা যাকে বলছেন নিরব-সংক্রমণ। আর নিরব এই সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে চিকিৎসাসংশ্লিষ্টদের। সারাবিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যখন কিনা ২৫ লাখ ছুঁতে যাচ্ছে, এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪১ জন মানুষ। আর এই ভয়াবহতা রোধে বিশ্বের ভাইরাসআক্রান্ত ২১০টি দেশে চলছে অবরুদ্ধ অবস্থা। থেমে গেছে অর্থনীতির চাকা।
যেখানে এখন পর্যন্ত কোন প্রতিষেধক আবিস্কার করে উঠতে পারছেন না বিজ্ঞানিরা। এমনি এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নিরব সংক্রমণের আরেক উদ্বেগকে সামনে আনলেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এ গবেষক রমণ আর গঙ্গাখেড়কর।
ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রমণ আর গঙ্গাখেড়কর বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত যত জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের ৮০ শতাংশের মধ্যেই ছিল না কোনও উপসর্গ। তাই উপসর্গ নেই এমন রোগিদের কীভাবে শনাক্ত করা যাবে, তাই এখন আমাদের প্রধান দু:শ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সংক্রমিত ব্যক্তি যাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন, জনে জনে গিয়ে তা যাচাই করে দেখা ছাড়া আর কোনও ভাবে নতুন করে কেউ সংক্রমিত হয়েছে কিনা, তা বোঝার উপায় নেই।’’

জনবহুল দেশগুলোতে উপসর্গহীনদের জনে জনে জনে পরীক্ষা করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাই সংক্রমিতরা কার কার সংস্পর্শে এসেছেন, এই মুহূর্তে তা খুঁজে বের করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই জানিয়েছেন গঙ্গাখেড়কর। কিন্তু তাতে অনেক দেরি হয়ে যাবে না কিনা জানতে চাইলে গঙ্গাখেড়কর বলেন, ‘‘আশাকরি তা হবে না। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই অন্য উপায় বার করা যাবে বলে আশা করছি আমরা।’’
কিন্তু উপসর্গ নেই এমন সংক্রমিতদের শনাক্ত করতে পদ্ধতিগত কোনও পরিবর্তন আনা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে গঙ্গাখেড়কর বলেন, ‘‘আর কি পরিবর্তন করা যাবে? তেমন কোনও সম্ভাবনা তো দেখছি না। বিশ্বজুড়েই কোথাও সংক্রমণ ধরা পড়লে বা হটস্পটগুলিতে গিয়ে সেখানকার মানুষের ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আর কী পদক্ষেপ করা যেতে পারে আমার তা জানা নেই।’’