|| সারাবেলা প্রতিবেদন ||
সংঘাত, শঙ্কা আর সকল অনিশ্চয়তাকে পেছনে ফেলে শেষপর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিশ্বর হলেন জো বাইডেন। ডেমোক্রেটিক দলের এই প্রার্থিকে হারাতে ক্ষমতার সর্বাত্মক ব্যবহারটা করেছেন দীর্ঘ আট বছর ক্ষমতায় থাকা রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তার এই দীর্ঘ সময়ের শাসনে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খোদ মার্কিনীরা। বাদ যায়নি বিশ্বসম্প্রদায়ও। বিশ্লেষকরা নানাভাবে নানা সময়ে এমনটা বললেও তাতে কোন ধরণের গা করেননি ট্রাম্প। বরং নিজের সিদ্ধান্তকেই এগিয়ে রেখেছেন শাসনের সবটা সময়।
ট্রাম্পের এমন শাসনের বিকল্পও খুঁজছিলেন মার্কিনীরা। বিকল্প প্রত্যাশা করছিলেন বিশ্বসম্প্রদায়ও। যদিও বিশ্বমোড়ল হিসেবে খ্যাত এই দেশটির শাসনক্ষমতায় রিপাবলিকান কিংবা ডেমোক্রেট যে দলই আসুক না কেনো পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতায় তেমন কোন পরিবর্তন হয়না। অতীত বলছে, গেলো আট বছরের ট্রাম্প শাসনে মার্কিণ বিদেশ নীতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে খুব কমই। যা হয়েছে তাতে ট্রাম্পের নিজস্ব স্বার্থ অটুট রেখেই তা করা হয়েছে।
তবে এই দেশটিতে ক্ষমতার পালাবদল ঘটলেও তাদের বিদেশ নীতিতে খুব একটা যে কোন পরিবর্তন হয় না সেটা ইতিহাসসিদ্ধ। তারপরও এবারের ট্রাম্পশাসনের বিদায় বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো কিছুটা হলেও পরিবর্তন প্রত্যাশা করছেন বৈকি।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজিমুদ্দিন খান সংবাদ সারাবেলাকে বলেন, বিশ্বের সবথেকে শক্তিধর রাস্ট্র হিসেবে পরিচিত এই দেশটির সরকারে ডেমোক্রেটিক পার্টি ক্ষমতায় আসার বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনার জায়গা তৈরি হতে পারে। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের দুটি দিক নজরে থাকবে। প্রথমটি হচ্ছে, সামরিক কৌশলগত স্বার্থ এবং অন্যটি হচ্ছে, অর্থনৈতিক স্বার্থ। সামরিক স্বার্থের বিষয়টি যদি দেখা যায়, তবে বাংলাদেশের সাথে মার্কিন সম্পর্ক নির্ভর করবে চীন বা ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক কি অবস্থায় আছে সেটির উপর।
অপরদিকে, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশের জন্য বাইডেন প্রশাসন আলোচনার কিছু সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে বিভিন্ন বিষয়ে। যেমন জিএসপি সুবিধা, ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্টের মতো ইস্যূগুলোতে বাংলাদেশ আলোচনায় বসতে পারে।
তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাইডেনের একটা মুল পার্থক্য হচ্ছে বাইডেন প্রশাসন এশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক এনগেইজমেন্ট খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। যেখানে ট্রাম্প সরকার চেয়েছিল ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি কাজে লাগিয়ে সামরিক শক্তির বিস্তার। এই জায়গাটিতেই আবার ওবামার সময়টার পুনরাবৃত্তি হয়তো আমরা দেখতে পারি।
এছাড়া, বাইডেনের নির্বাচনি ইশতেহারে মুসলিম ভোটাররা এবার প্রাধান্য পেয়েছে। ডেমোক্রেটিক পার্টি বা বাইডেন যেহেতু সেন্ট্রাল লেফট মতধারার, সেক্ষেত্রে হিউম্যান রাইটস, ডেমোক্রেসি, রিলিজিয়াস ফ্রিডম ইত্যাদি বিষয়গুলো বেশ গুরুত্ব পাবে। বিশেষ করে ডিপ্লোমেটিক নেগোসিয়েশনের বিষয় হিসেবে তারা এ বিষয়গুলো সামনে আনবে। সেদিক থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুটি সামনে এনে বাংলাদেশের ক‚টনীতিকরা তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনার জায়গা তৈরি করতে পারে। নির্বাচনি ইশতেহারে মুসলিমদের নিয়ে বিশেষ মেনিফেস্টো থাকায় ডেমোক্রেটদের থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যেতে পারে। অতীতে তারা উইঘুর মুসলিম, কাশ্মীরি মুসলিমদের নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, সেই ক্ষেত্রে আমরা আশা করতে পারি যে রোহিঙ্গা ইস্যুতেও তারা সরব হবে। তবে পুরো বিষয়টিই নির্ভর করবে আমাদের ক‚টনৈতিক পারদর্শিতার উপর।
অধ্যাপক তানজিম আরও বলেন, জাতিগত দিক দিয়ে আমেরিকানদের কিছু মৌলিক স্বার্থগত বিষয় আছে তা সে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন। যেমন সন্ত্রাস নির্মুল, কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে তাদের শক্ত প্রভাব বিস্তার, ইসরায়েলের নিরাপত্তা, সৌদির সঙ্গে সম্পর্কসহ বেশ কিছু বিষয়ে তাদের মতবাদ বা মতাদর্শ অভিন্ন। এ বিষয়গুলোতে কোন পরিবর্তন আসবে না। অপরদিকে বাইডেন নির্বাচিত হলেও, ফরেইন পলিসি নির্ধারন করেন সিনেট সদস্যরা। সেই জায়গাটিতে কিন্তু এখনো বাইডেন হাত দিতে পারেননি। সুতরাং এখনো নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না কি হতে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ডেমোক্রেটরা কিভাবে দেখবে তা ভারত বা চীনের উপর অনেকটাই নির্ভর করবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি স্টিভেন বিগান বাংলাদেশ সফরে এসে ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে বাংলাদেশের অবস্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক তানজিম বলেন, অবস্থানগত দিক থেকে এই ইস্যূতে তেমন কোন পরিবর্তন হয়তো আসবে না। তবে পন্থাটা হবে ভিন্ন। ট্রাম্প যে রকম আগ্রাসী পন্থায় আগাতে চেয়েছিল বাইডেন হয়তো পন্থা পরিবর্তন করে অনেকটাই নমনীয় হবেন।
বাইডেনের এই নমনীয়তা কাজে লাগিয়ে আমেরিকার সাথে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট সম্পন্ন করা যায় কিনা এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কি চুক্তি সই করা যাবে, বা কি কি সুবিধা নেওয়া যাবে এ বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে আমাদের দেশের ক‚টনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তৎপরতার উপর। তারা ফরেইন পলিসির ক্ষেত্রে কতটুকু স্বাধীনতা পাচ্ছে সেই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জিএসপি সুবিধা, বাণিজ্যিক সকল সুবিধা, পলিসিগত সুবিধা, কিংবা আভিভাসন সুবিধা, যাই বলি না কেন, এই সব কিছুই আমাদেরকে বাগিয়ে নিতে হবে। তবে এ কথা বলা যায় যে, ট্রাম্পের আগ্রাসী বা দাম্ভিক মনোভাবের বিপরীতে বাইডেনের নমনীয়তা অনেক বিষয় নিয়েই আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করে দিবে আমাদেরকে। আমরা সেটিকে জাতীয় স্বার্থে কি করে হাসিল করে নেব সেটা আমাদেরই ভাবতে হবে।
ডেমোক্রেটিক পার্টি তথা বাইডেন ক্ষমতায় আসায় বাংলাদেশের লাভ বা ক্ষতি বিষয়টি কেমন হবে জানতে চাইলে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আগের যে কোন সময়ের থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি বিশেষ করে দেশটির বøু ইকোনমি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এছাড়া এই সময়ে বাংলাদেশী পণ্যের সবথেকে বড় রফতানি বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই দেশটি সারাবিশ্ব থেকে বছরে বর্তমানে যে তিন ট্রিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে তার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যায় মাত্র ছয় থেকে সাত বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
হুমায়ুন কবির বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে খোলা অর্থনীতির দেশ। তাই নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি এই খোলা অর্থনীতিকে আরো প্রসারিত করেন, তাহলে বাংলাদেশের জন্য সুযোগ বাড়বে। বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের উৎসগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তিন নম্বরে উল্লেখ করে হুমায়ুন কবির আরো জানান, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য অংশ অনিয়মিত। যাদের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি ছিলো খুবই কঠোর। এক্ষেত্রে জো বাইডেনের ভোট প্রতিশ্রæতি হচ্ছে সাড়ে ১১ লাখ অনিয়মিত অভিবাসীকে নিয়মিত করা। এটা হলেও উপকৃত হবেন বাংলাদেশীরা। ইতিবাচক প্রভাব পড়বে প্রবাসী আয়েও। এছাড়া বাংলাদেশের জন্য সবথেকে জরুরি ইস্যূ যেটি সেটি হচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থী। যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে রয়েছে বেশ তেতো ব্যাপার। বাইডেন বলেছেন, তিনি চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক মেরামত করবেন। আর যদি সেটা হয়, তাহলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ তৈরির কাজটি সহজ হবে। ভারতকেও পাশে পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগানও বাংলাদেশ সফরে এসে আঞ্চলিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়তির দিকে এমন ইঙ্গিতও দিয়ে যান। নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ সফরে এসে বিগান বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অনেকগুলো ইস্যূতেই পরিস্কার করেন তার দেশের অবস্থান। বলেন, ইন্দো- প্যাসিফক অঞ্চল গড়তে বাংলাদেশই হবে কেন্দ্রবিন্দু।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন নীতি পরিবর্তন প্রসঙ্গে বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতে ভারতকে কেন্দ্র করেই এই অঞ্চলে মার্কিন সম্পর্ক বিস্তৃত হলেও এখন এমন নতুন কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো যে, বাংলাদেশকে ভারতের অবস্থানে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে মার্কিন সম্পর্ক বিস্তৃতির বেশ কয়েকটি নতুন কারণ সৃষ্টি হয়েছে-
১.বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার বিস্তৃত হচ্ছে৷ করোনার মধ্যেও অর্থনীতি আবার চাঙ্গা হচ্ছে৷
২. প্রতিবেশীদের সাথে ভারতের খারাপ সম্পর্ক
৩. ভারতের অভ্যন্তরীন হিন্দুত্ববাদী সংকট
৪.বাংলাদেশের সাথে চীনের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্পর্ক
অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন, ভারতের মাধ্যমে এই অঞ্চলে অন্য দেশের সাথে সম্পর্ক পুরনো মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি। তবে নির্বাচনের আগে স্টিফেন ই বিগান-এর এই সফরের গুরত্ব আছে। এখানে তারা নতুন বার্তা দিতে চাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি, ‘‘ভারতের সাথে শ্রীলঙ্কা ও নেপালের সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে। পাকিস্তানের সাথে তো কথাই নেই। তাই এই অঞ্চলে ভারতের মাধ্যমে সম্পর্ক বজায় রাখার চেয়ে সরাসরি যোগাযোগ রাখাকে হয়ত যুক্তরাষ্ট্র শ্রেয় মনে করছে। তাছাড়া ভারত মোদী সরকারের নীতির কারণে অনেক সমস্যায় পড়ছে। বিশেষ করে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি ভারতকে ভাবমূর্তির সংকটে ফেলেছে আর পাশাপাশি তাদের অর্থনীতিও সংকটে পড়েছে।”
বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার পিছনে চীনও একটি ‘বড় ফ্যাক্টর’ বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘‘চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। চীনা বিনিয়োগ বাড়ছে, চীনের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে চীন-নীতি তাতে হয়ত তারা মনে করে, এখন বাংলাদেশকে কিছুটা হলেও ফেরানো দরকার।”
অন্যদিকে মিয়ানমার ভারত থেকে সাবমেরিন পাচ্ছে। তা বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের অবস্থানের কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘‘ভারত যদি বাংলাদেশকে বাইরে ঠেলে দিতে চায়, সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ যেখানে প্রায় প্রমাণিত, সেই দেশের কাছে সাবমেরিন বিক্রি করা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা সমালোচিত হবে। গণহত্যার বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান প্রশ্নের মুখে পড়বে। প্রশ্ন উঠবে, ১৯৭১ সালে ভারত কি তার স্বার্থের জন্য বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল, না গণহত্যার বিরুদ্ধে ছিল?”
তবে এখানে মিয়ানমারে চীনের প্রভাব দূর্বল করার একটা ইচ্ছা ভারতের থাকতে পারে। আর ভারতের বড় ব্যবসায়িক স্বার্থ আছে মিয়ানমারে। কিন্তু ভারত যতই চেষ্টা করুক, মিয়ানমারে চীনের প্রভাব কমানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) শহীদুল হক। তিনি মিয়ানমারে বাংলাদেশের সামরিক এটাশে হিসেবেও এক সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘মিয়ামারের সাথে চীনের ঐতিহাসিক সম্পর্ক।” তবে তিনি মনে করেন, এতে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ, ওই সাবমেরিনটি একটি পুরনো ট্রেনিং সাবমেরিন।
তবে সাধারণভাবে মার্কিন নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে না। তাই এটাকে নীতির পরিবর্তন না বলে ফোকাসের কিছুটা পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জোনারেল (অব.) শহীদুল হক। তার মতে, বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র এখন অর্থনেতিক কারণেই গুরুত্ব দিচ্ছে।
দুজন বিশ্লেষকই মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র যেভাবেই বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসুক না কেন বাংলাদেশকে কাজ করতে হবে নিজের স্বার্থ বিবেচনা করে, মাথা ঠান্ডা রেখে৷