|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
দেশে চলমান সাধারণ ছুটি আসছে মাসের ৪ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গেল ২৬শে মার্চ দেশজুড়ে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকে তিন দফা বাড়িয়ে এই ছুটি ২৫শে এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “এই সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজই (বুধবার) বিকালে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।”
এরআগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, চলমান সাধারণ ছুটি আরও সাত দিন বাড়াতে প্রস্তাব গেছে সরকারপ্রধানের কাছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই তারা লকডাউনের মেয়াদ ২রা মে পর্যন্ত বাড়িয়ে আদেশ জারি করবেন।
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় কমিটি ছুটি বাড়ানোর সুপারিশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সেখানে নতুন করে ২৬ থেকে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিন ছুটি ঘোষণার কথা বলা হয়েছে। তার সঙ্গে যোগ হবে ১ ও ২রা মের সাপ্তাহিক ছুটি।”
সব ঠিক থাকলে বুধবারই ‘ছুটি’ বাড়িয়ে আদেশ হতে পারে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, “নতুন করে কোন কোন শর্তে ছুটি ঘোষণা করা হবে তা আদেশে বলা থাকবে। এবারের ছুটিটা একটু অন্যরকম হতে পারে।”
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬শে মার্চ থেকে ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস আদালত বন্ধ ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। পাশাপাশি সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলে বিশ্বের আরও অনেক দেশের মত বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষও ঘরবন্দি দশার মধ্যে পড়ে, যাকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বর্ণনা করা হচ্ছে ‘লকডাউন’ হিসেবে।
এরপর সেই ‘ছুটির’ মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়িয়ে ২৫শে এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। গত ১০ই এপ্রিলের আদেশে সন্ধ্যা ৬টার পর ঘর থেকে বের হওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আসে।
এদিকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার ১৭ই মার্চ থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে। ১লা এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত হয়ে গেছে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে।
সংবাদ সূত্র: বিবিসি বাংলা ও বিডিনিউজ ২৪