|| সারাবেলা প্রতিবেদন ||
সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমন রোধে জারি করা ‘কঠোর লকডাউন’ এর মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়িয়ছে সরকার। তবে এখন থেকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে দূরপাল্লার বাস। খোলা থাকবে হোটেল-রেস্তোরাঁ।
রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এসব নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, ‘সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়’ পূর্বের সকল বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতায় নতুন শর্ত যুক্ত করে এর মেয়াদ ২৩শে মে মধ্যরাত থেকে ৩০শে মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
লকডাউন পরিস্থিতিতে আন্ত;জেলা তথা দূরপাল্লার যাত্রীবাহন চলার অনুমতি দেয়া হলেও জুড়ে দেয়া হয়েছে নতুন কিছু শর্ত। বলা হয়েছে, আন্তঃজেলা বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহণ আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সবাইকে মাস্ক পরার পাশাপাশি সকল স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
ঈদের আগে জেলার ভেতর অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচলের অনুমতিম দেওয়া হলেও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। ঈদের পর লকডাউনের মেয়াদ এক সপ্তাহ বাড়ানো হলে দূরপাল্লার বাসের বিধিনিষেধও বহাল রাখা হয়েছিল।
এতোদিন খাবারের দোকান তথা হোটেল রেস্তোরাঁতে বসে খাবার খাওয়ার অনুমতি না থাকলেও রোবারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও খাবার দোকানগুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিতে পারবে। একইসঙ্গে খাবার বিক্রি বা সরবরাহ (টেকওয়ে বা অনলাইন) করার সুযোগ আগের মতোই থাকবে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তারের ঊর্ধ্বগতি রোধে কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় ধাপে গত ১৪ই এপ্রিল থেকে দেশে জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে ‘কঠোর লকডাউন’ তথা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
সবশেষ প্রজ্ঞাপনে এও বলা হয়, এই বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস আগের মতই বন্ধ আছে। তবে উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চালানোর অনুমতি রয়েছে।
সর্বাত্মক লকডাউন শুরুর পর আন্তঃজেলা বাসের পাশাপাশি ট্রেন ও লঞ্চ চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন দূরপাল্লার বাস চালানোর অনুমতি দেওয়া হলেও ট্রেন বা লঞ্চের বিষয়ে রোববারের প্রজ্ঞাপনে কিছু বলা হয়নি।
রোজার আগে বিধিনিষেধ শিথিল করে দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এখনও সেই নিয়মই বহাল আছে।
পরিবধির্ত সংস্করণ