|| খেলা সারাবেলা ||
ভারতে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হলে আসছে অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএল। আর টি ২০ বিশ্বকাপ পিছিয়ে ২০২১ সালে। নতুন সিডিউল মত চলতি বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় টি ২০ অনুষ্ঠিত হবে ভারতে আগামী বছর। আর পরের বছরের টি ২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠান করবে অস্ট্রেলিয়া ২০২২ সালে।এর পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ।
গেল সোমবার অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) জরুরি বৈঠকে বিশ্ব বিশ্ব ক্রিকেটের এসব সূচি ঠিক করা হয়। করোনা এবং অন্যান্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সকল অংশীজনেরা একমত হয়েই এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০২১ সালের অক্টোবরে ভারতে একটি টি ২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত আগে থেকেই ঠিক হয়ে আছে। সেখানে একই ফরম্যাটে একই বছরে আরেকটি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠান করাটা কোন কাজের কাজ হবে না। যে কারণে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চের দিকে অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠান করা হবে পরবর্তি টি ২০।
ম্যাচগুলোর সম্প্রচার স্বত্ত্বের মালিক স্টার স্পোর্টস জানিয়েছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ও পরবর্তি পরিস্থিতিতে বিশ্ববাণিজ্য বিবেচনায় নিলে মাত্র ছয়মাসের ব্যবধানে দু দুটো বিশ্বকাপ আয়োজন খুব একটা লাভ বয়ে আনবে না। এছাড়া অক্টোবরে ভারতে আইপিএল অনুষ্ঠিত হলে ছয় মাসের ব্যবধানে দুটো আইপিএল আর ২০২১ সালে দুটো বিশ্বকাপ আয়োজনও লোকসানে ফেলবে সম্প্রচার সত্ত্বের মালিক স্টারকে।
করোনার কারনে বিনোদনবাজার এই মুহূর্তে খুবই খারাপ জানিয়ে স্টার কর্তৃপক্ষ নতুন এই অনুষ্ঠানসূচিকে ‘না’ বলছেন। তাদের কথা, বিশ্বকাপ অনুষ্ঠানটা করতে হবে ২০২২ সালে। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হলে প্রথমত টুর্নামেন্ট বাতিল না করে স্থগিত করতে হবে। তাতে করে আর যাই হোক ক্রিকেট অর্থায়নটা বিস্তর ক্ষতিতে পড়বে না। আর দ্বিতীয়ত ২০২২ সালে কোন বিশ্বস্থানীয় কোন আয়োজন নেই।
নতুন সূচি অনুযায়ী ২০২১ সালে ভারত টি ২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠান করবে। অস্ট্রেলিয়া করবে ২০২২ সালে। এর পরের বছর ২০২৩ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের আয়োজক হবে ভারত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এই অনুষ্ঠানসূচি বিপণনসংশ্লিষ্টদের উদ্বেগ বাড়ালেও ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড বিসিসিআই প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলী কালকের (বৃহস্পতিবার) আইসিসি বৈঠকে নতুন এই সূচিকে সমর্থন জানাতে পারেন।
নতুন এই অনুষ্ঠান সূচির মধ্য দিয়ে হয়তোবা আইপিএল এর দরজাটা খুলল বটে। কিন্তু সম্প্রচার স্বত্ত্বের মালিকরা এমনকি বিসিসিআইয়ের অনেকেই এই মুহূর্তেই সবকিছুকে চূড়ান্ত ভাবছেন না। এছাড়া সামনে বর্ষা, তার ওপর করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়-এসব কিছু বিবেচনায় নিয়েই এগোচ্ছেন তারা। যোগাযোগও রাখছেন ভারত সরকারের সঙ্গে।
তারপরও যদি করোনা পরিস্থিতি সামলে আসে। তাহলে হয়তো আইপিএলটা অক্টোবরেই হবে। সেক্ষেত্রে জুনে আসবে আনুষ্ঠানিক ঘোষনা। জুলাইতেই শুরু করতে হবে প্রস্তুতি। কেননা আইপিএল এর মত মহা এই ক্রিকেট যজ্ঞ আয়োজনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বড় ধরণের সাংগঠনিক কাজকর্ম। রয়েছে খেলোয়াড়, ও আয়োজন-প্রস্তুতির সংশ্লিষ্ট লোকজনও।