|| সারাবেলা ডেস্ক ||
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরেক খুনি রিসালদার (বরখাস্ত) মোসলেম উদ্দিন খানকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আটক হয়েছেন বলে খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, তারা এমন একটি খবর শুনেছেন, তবে এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “যোগাযোগেতো আমাদের লোক লেগেই আছে।”
তবে পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম বলেছেন, ইন্টারপোলের ভারতীয় শাখা ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) মোসলেম উদ্দিন খান গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে দেয়নি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের বেশীর ভাগ সদস্যকে খুনের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যে ছয় আসামি দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে রয়েছেন, তাদের মধ্যে মোসলেম উদ্দিন একজন। পালিয়ে থাকা এই ছয় জনের আরেকজন খুনি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত ১১ই এপ্রিল তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

মাজেদের মত মোসলেম উদ্দিনও ভারতে পালিয়ে ছিলেন এবং উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে তাকে আটক করা হয়ে থাকতে পারে বলে খবর দিয়েছে ভারতে পশ্চিবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা। পত্রিকার প্রতিবেদনে লেখা হয়, “এই প্রাক্তন সেনা অফিসারকে উত্তর চব্বিশ পরগনায় তার ডেরা থেকে আটক করা গিয়েছে বলেও সূত্রের দাবি। আবার অন্য একটি সূত্রের খবর, মাজেদ আটক হওয়া মাত্রই নিজের মৃত্যু-সংবাদ ছড়িয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে মোসলেম উদ্দিন।”
ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার লিখেছে, লকডাউনের সময় সেখান থেকে মোসলেম উদ্দিনকে বাংলাদেশে আনা সমস্যা হতে পারে বলে ঢাকা বিষয়টি ভারতীয় গোয়েন্দাদের জানায়। ভারতীয় গোয়েন্দারা এই খুনিকে কার্যত তাড়িয়ে সীমান্তের কোনো একটি অরক্ষিত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তবে সরকারিভাবে কিছুই স্বীকার করা হয়নি।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার একটি আধা শহরে ইউনানি চিকিৎসক সেজে ভাড়া থাকছিল মোসলেম উদ্দিন। সে-ও ফেরার হওয়া ফাঁসির আসামি। ১৯৭৫-এর ১৫ই অগাস্ট মুজিবের বাড়িতে হানা দেওয়া দলটির সামনের সারিতে ছিল মোসলেম উদ্দিন। অনেকের দাবি, মোসলেম উদ্দিনই গুলি করে হত্যা করেছিল মুজিবকে।”