|| সারাবেলা প্রতিবেদক, ঢাকা ||
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তৈরি করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট ১১ই এপ্রিল রাষ্ট্রের সকল পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে। ব্রিটেন থেকে আনা কিট তৈরির কাঁচামাল ইতোমধ্যেই সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে পৌছেছে। কিট উৎপাদনের প্রস্তুতিও শেষ। ১৫ মিনিটের মধ্যে এই কিট দিয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে ফল জানা যাবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তাদের তৈরি কিটের কার্যকরিতা বিদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের রক্তের নমুনা দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচ জনের রক্তের নমুনা প্রয়োজন। তাহলে আমরা ল্যাবে পরীক্ষা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারব। আমরা চাই সরকার করোনা আক্রান্ত পাঁচজন রোগীর কয়েক সিসি করে রক্ত দিয়ে আমাদের সহায়তা করুক। পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হলে পুরোদমে কিট উৎপাদন শুরু হবে বলে জানান তিনি।
আগামী ১১ই এপ্রিল সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিএসএমএমইউ, আইইডিসিআর, আইসিডিডিআর’বিসহ যতগুলো জায়গায় করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, সব জায়গায় কিট দেওয়া হবে।
বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস মহামারী রূপ নেওয়ায় বিশ্ব স্বস্থ্য সংস্থা বেশি বেশি পরীক্ষার পরামর্শ দিলেও অনেক দেশেই প্রয়োজনের তুলনায় টেস্ট কিটের স্বল্পতা রয়েছে। এর মধ্যেই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, তাদের গবেষকরা মাত্র ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষা করা যায় এমন কিট উদ্ভাবন করেছেন।
গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিটিউক্যালসের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। ‘র্যাপিড ডট ব্লট’ নামের এই পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য খরচ হবে মাত্র ৩০০-৩৫০ টাকা।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ’উৎপাদনে যাওয়ার আগেই এই কিটের বিশ্বব্যাপী চাহিদা তৈরি হয়েছে।’ এই কিটের জন্য এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো থেকে চাহিদার কথা জানিয়ে অনুরোধ এসেছে।
তিনি আরও জানান, দেশের প্রাথমিক চাহিদার একটা অংশ আমরা এখনই পূরণ করতে পারব। তবে আমাদের লক্ষ্য মাসে ২০ লাখ কিট উৎপাদনের। এজন্য দ্রুতগতিতে আমাদের প্ল্যান্ট বড় করতে হবে। ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ দরকার। সরকার বা যে কেউ অনুদান হিসাবে দিতে পারে। অথবা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১০০ কোটি টাকার সম্পদ বন্ধক রেখে ৫০ কোটি টাকা স্বল্প সুদে ঝণ চায়। সরকার কোনো ব্যাংককে বলে বিশেষ ব্যবস্থায় ঋণের ব্যবস্থা করে দিতে পারে। তাহলে আমরা দেশের সম্পূর্ণ চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করতে পারব। এখন আমরা দ্রুত সরকারের সহায়তা চাই।#
