|| অর্থবাজার প্রতিবেদন, ঢাকা ||
করোনার আর্থিক অভিঘাতে বাংলাদেশের প্রতি ছয়জন যুবকের মধ্যে একজন কাজ হারিয়েছেন। কাজ হারানোর এই প্রক্রিয়াতে সবথেকে ক্ষতিতে পড়েছে তরুনীরা। এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও।
‘আইএলও মনিটর : কোভিড-১৯ অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক’ এর চতুর্থ সংস্করণে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট যুবশক্তির চারভাগের একভাগের বেশি অর্থাৎ ২৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ যুবক বেকার হয়ে পড়েছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই বাড়ছে এই বেকারি। করোনা অভিঘাতে যুবকদের প্রতি ছয় জনে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন একজন।
আর সারাবিশ্বে করোনা অভিঘাতে কর্মহীন হয়েছে প্রায় ২৭ কোটি যুবক। যুবকদের মধ্যে নারীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানিয়েছে আইএলও। সংস্থাটির বিশ্লেষনে যুবকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তিনভাবে- এক তারা কাজ হারাচ্ছে, দুই তাদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে। আর তিন চাকরিতে প্রবেশ ও দক্ষতা বাড়াতে পারছেন না তারা।
শ্রমবাজারের উপর কোভিড-১৯ মহামারীর অভিঘাত নিয়ে প্রকাশিত এই প্রতিবেদন প্রসঙ্গে আইএলও’র মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, কোভিড-১৯ এর আর্থিক অভিঘাতে অন্য যে কোনো বয়সের কর্মজীবীদের চেয়ে যুবকদের বিশেষত নারীদের পথ কঠিন হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, “আমরা যদি তরুণদের অবস্থার উন্নতির জন্য কার্যকর ও দ্রুত পদক্ষেপ না নেই তাহলে এ ভাইরাসের রেশ আরও অন্তত এক দশক বয়ে বেড়াতে হবে।”
বাংলাদেশে দায়িত্বরত আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর টুয়োমো পুটিয়ানা এ প্রসঙ্গে বলেন, মহামারী বাংলাদেশের ঝুঁকিতে থাকা তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য সত্যিকার বিপদ বয়ে এনেছে। চাকরির সুযোগ কমে গিয়েছে বিপুলহারে। তরুণদের জন্য ইতিবাচক ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা ও দক্ষতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণে যথেষ্ট বিনিয়োগ দরকার হবে। তিনি বলেন, “দুঃখজনকভাবে নিম্ন মজুরি ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ভুগতে থাকা যুব নারীকর্মীরাই করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
বাংলাদেশে নিরাপদ কর্মক্ষেত্রগুলো চালু করতে বিশদ ও অব্যাহতভাবে করোনা পরীক্ষা ও কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের পরামর্শ দিয়েছে আইএলও। এই টেস্টিং ও ট্রেসিং ব্যবস্থা সাময়িক হলেও নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে বলেও জানিয়েছে আইএলও।