|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
দেশের ৪৩টি জেলায় দেড় হাজারের বেশী মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় গোটা দেশকেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করলো সরকার।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, “যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে। সেহেতু সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ১১(১) ধারার ক্ষমতাবলে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হল।”
এর আগে ৪৩ জেলায় এই পর্যন্ত এক হাজার ৫৭২ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিদিনকার বুলেটিনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১০ জন মারা গেছে। এসময়ে নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৩৪১ জন। দেশে গেল ৮ই মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পরার পর থেকে একদিনে সংখ্যার দিক থেকে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যু আর নতুন সংক্রমণ।
করোনা বুলেটিনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঢাকায় ৫৪৬ জন, নারায়ণগঞ্জে ২১৪ জন, গাজীপুরে ৫৩ জন, চট্টগ্রামে ৩১ জন, নরসিংদীতে ২৮ জন, মুন্সিগঞ্জে ২১ জন, মাদারীপুরে ১৯ জন, কিশোরগঞ্জে ১৭ জন, কুমিল্লায় ১৪ জন; গাইবান্ধা ও জামালপুরে ১২ জন করে, বরিশালে ১০ জন; গোপালগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে ৯ নয় করে রোনাভাইরাসের রোগী পাওয়া গেছে।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৮ জন, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহে ৭ জন করে; চাঁদপুর, নিলফামারী ও রাজবাড়ীতে ৬ জন করে; মানিকগঞ্জ ও শরিয়তপুরে ৫ জন করে; বরগুনা, নেত্রকোণা, পিরোজপুর ও রাজশাহীতে ৪ জন করে; ঝালকাঠি, শেরপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ জন করে; ফরিদপুর, কুরিগ্রাম, লালমনিরহাট, মৌলভীবাজার, পটুয়াখালী ও রংপুরে ২ জন করে এবং চুয়াডাঙ্গা, কক্সবাজার, হবিগঞ্জ, খুলনা, লক্ষ্মীপুর, নড়াইল, নোয়াখালী ও সুনামগঞ্জে একজন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।
ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে ৪৮টি জেলা লকডাউন করেছে প্রশাসন। এর বাইরেও কিছু উপজেলা এবং কিছু অঞ্চলে লকডাউন জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী আকারে বিস্তার লাভ করেছে। এ কারণে লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে এক লাখের বেশি মানুষ। বাংলাদেশেরও বিভিন্ন জায়গায় এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী এ রোগের একমাত্র প্রতিষেধক পরস্পর থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করা।”
সংক্রমণ এড়াতে মানুষের ঘরে থাকার উপর জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা করতে হবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। এসব নির্দেশনরা অমাণ্য করলে তিনি বা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
![](https://i0.wp.com/sangbadsaradin.net/wp-content/uploads/2023/02/BBS.jpg?fit=300%2C225&ssl=1)