এবার সিইসিসহ সকল কমিশন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের সকল কর্মকতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের দশ আইনজীবী।

|| সারাবলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||

বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের সকল কর্মকতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের দশ আইনজীবী। বৃহস্পতিবার ৭ই জানুয়ারি সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর এই অভিযোগ করেন অ্যাডভোকেট শিশির মনিরসহ সুপ্রিম কোর্টের দশজন আইনজীবী।
প্রশিক্ষণ ভাতার নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের নীতিমালার বাইরে গিয়ে ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচের মাধ্যমে সরকারি অর্থের ক্ষতিসাধনের বিষয়ে অনুসন্ধান, তদন্ত পরিচালনা এবং মামলা দায়েরের অনুরোধ জানিয়ে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ দায়েরের আবেদনের সঙ্গে দৈনিক যুগান্তরে গত ৩রা জানুয়ারি ‘প্রশিক্ষণ ভাতা নিয়ে ঘুম হারাম ইসির’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, সংযুক্ত পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত পদ ছাড়াই ‘বিশেষ বক্তা’‘কোর্স পরিচালক’ও ‘কোর্স উপদেষ্টা’হিসেবে ভাতা নেওয়া, নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি এবং খাত পরিবর্তন করে ভাতা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উক্ত অভিযোগের সাথে ১. বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ২. নির্বাচন কমিশনারগণ ৩. বর্তমান সচিব, ৪. সদ্য সাবেক সচিব এবং ৫. বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তাগণদের মধ্যে অনেকে জড়িত ছিল মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ সরকারের মোট ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচের মাধ্যমে সরকারি অর্থের ক্ষতিসাধন করেছেন। উল্লেখিত দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ এরুপ কর্মকাণ্ডের দ্বারা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৫১১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটন করেছেন।
তাই উক্ত আবেদনে, উপরোক্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৭(ক), ১৭(খ), এবং ১৭(গ) ধারা অনুযায়ী অনুসন্ধান, তদন্ত পরিচালনা এবং মামলা দায়েরের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আবেদনকারীরা বলেন, আমরা দেশে আইনের শাসন এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সর্বদা সচেষ্ট। আমরা মনে করি দুর্নীতি আইনের শাসনের অন্তরায়। সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে এসব ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলাম। দুদক বিধিমালা ২০০৭(৩) অনুযায়ী এ অভিযোগটি দায়ের করেছি।

সংবাদ সারাদিন