আসছে সপ্তায় বন্যার শঙ্কা সিলেট সুনামগঞ্জে

|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ও সুনামগঞ্জ ||
করোনাদুর্যোগের মধ্যেই এবার দেশের হাওর অঞ্চলে ধেয়ে আসছে বন্যা। এমনি পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ভারতের আবহাওয়া দফতরের উদ্ধৃতি দিয়ে পাউবো বলছে, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও সংশ্লিষ্ট ভারতের সীমান্ত এলাকাগুলোতে আসছে ১৭ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টি হতে পারে। আর এই বৃষ্টিতেই প্লাবিত হবে সুনামগঞ্জ ও সিলেটের হাওর এলাকা। এদিকে বন্যার এমন পূর্বাভাসে কাটবার অপেক্ষায় থাকা বোরো ধান নিয়ে যারপর নাই শঙ্কায় পড়েছেন হাওর এলাকার হাজারো কৃষক।
পাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহি প্রকৌশলি মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানিয়েছেন, ‘ ভারতের আবহাওয়া দফতরের তথ্য হচ্ছে, এ মাসের ১৭ থেকে ২০ তারিখ এই তিনদিন মেঘালয় ও বরাক উপত্যকায় ১৫০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার এবং ত্রিপুরা উপত্যকায় ১০০ থেকে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। একইভাবে এই পরিমান বৃষ্টি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি এও বলেন, ‘তিন দিন ধরে এমন বৃষ্টি হলে মেঘনা বেসিনের সবগুলো বড় নদীতেই বাড়বে পানি। ছোটগুলোতে অতিক্রম করতে পারে বিপদসীমা। যে কারণে এই অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জ জেলায় ২ লাখ ১৯ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। যা গতবারের থেকে কিছুটা কম। গত মৌসুমে আবাদ করা হয়েছিল ২ লাখ ২৮ হাজার ৪৪০ হাজার হেক্টর জমি।
এদিকে এমন আশঙ্কা থেকে ইতোমধ্যেই সরকারি নোটিশ জারি করেছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আবদুল আহাদ। তাতে বন্যার আগেই যত দ্রæত সম্ভব বোরো ধান কেটে ফেলতে কৃষকদের প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের অধীনে হাওরের বোরো ধান রক্ষায় নির্মিত সকল বাধের অবস্থা নজরে রাখতে ও সতর্ক ব্যবস্থা নিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিগুলোকে(পিআইসি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঐনোটিশে।
সুনামগঞ্জ জেলায় এ বছর ৩৬টি হাওরের সংলগ্ন বাধ নির্মাণ করা হয়েছে। ৭৪৬টি প্রকল্পের অধীনে ৬৩৩ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার এই বাধ নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ১৩২ কোটি টাকা।#

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন