|| সারাবেলা ডেস্ক ||
বাক্স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকারেও শর্ত বেধে দিল বম্বে হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি এস এস শিন্ডে ও বিচারপতি এম এস কারনিকের বেঞ্চ এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং তাঁর ছেলে তথা মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরের বিরুদ্ধে গত ২৫ থেকে ২৮শে জুলাইয়ের মধ্যে টুইটারে একের পর এক কুরুচিকর মন্তব্য করায় নভি মুম্বইয়ের বাসিন্দা সুনয়না হোলের বিরুদ্ধে তিনটি থানায় মামলা করেছিল পুলিশ। গত মাসে সেই মামলায় তদন্তে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি জামিন পান। কিন্তু পুলিশের অভিযোগ, নিম্ন আদালতে দেওয়া তদন্তে সহযোগিতা করবার সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষঅ করেননি সুনয়না হোলে।
এই অবস্থায় গ্রেফতার এড়াতে হোলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। পাশাপাশি আদালতে হোলের আইনজীবী অভিনব চন্দ্রচূড় আবেদন করেন, মহিলার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি খারিজ করা হোক। হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ সেই আর্জি খারিজ করার পাশাপাশি বাক্স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার নিয়ে তাদের মতামত জানিয়েছে।
সংবিধান প্রদত্ত বাক্স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার কতটা, তার মাপকাঠি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে। সম্প্রতি আদালত অবমাননায় অভিযুক্ত আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার’ সংক্রান্ত যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
মহারাষ্ট্রের এই মামলায় রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী ওয়াই পি যাজ্ঞিক প্রতিশ্রুতি দেন, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে অভিযুক্ত সুনয়না হোলেকে গ্রেফতার করা হবে না। তবে পালঘর জেলার তুলিঞ্জ এবং মুম্বইয়ের আজাদ ময়দান থানায় হাজির হয়ে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে অভিযুক্তকে।
সুনয়নার পক্ষ থেকে আদালতে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তিনি আগামী সপ্তাহে থানায় হাজিরা দেবেন। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, পুলিশ পক্ষপাত দেখালে অভিযুক্ত ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন।
সংবাদসূত্র: আনন্দবাজার