|| সারাবেলা ডেস্ক ||
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এবারে রোজার তারাবীহ ও ঈদের নামাজ বাড়িতেই পড়তে বললেন সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি। তিনি এ জন্য একটি ডিক্রিও জারি করে বলেছেন, করোনা সংক্রমণ না থামলে এবারে প্রত্যেক মুসলমানের উচিত হবে তারাবীহ ও ঈদের নামাজ বাড়িতেই পড়া।
মুফতি শেখ আবদুলাজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল-শেইখ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধে আমরা নেমেছি তা সফল করতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুবই জরুরি। তাই এবারে রোজায় তারাবীহ ও ঈদের নামাজ বাড়িতেই পড়তে হবে।’
সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ আল-শেইখ দেশটির রাষ্ট্রিয় সংবাদপত্র ওকাজ এর সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে এই নির্দেশনা দেন তিনি।
রোজায় প্রতি সন্ধ্যাতেই মাস ধরে পড়া হয় তারাবীহ নামাজ। যা মসজিদে গিয়ে ইমামের পেছনে পড়াকেই অবশ্য পালনীয় বলে বিশ্বাস করেন মুসলমানরা। একইভাবে মাস ধরে রোজাশেষে পরদিন সকালে মাঠে, কিংবা মসজিদে গিয়ে ইমামের পেছনেই পড়া হয় ঈদের নামাজ।
ইতোমধ্যেই রোজায় সকল মসজিদ বন্ধ রাখার আহ্বানকে সমর্থন করেছেন মুসলিম বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এই ধর্মীয় এই নেতা। ধর্মপ্রাণ মানুষদের অনেকেই করোনার এই সময়ে বাড়িতেই পড়ছেন নামাজ।
গেল সপ্তাহে সৌদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী তওফিক আল-রাবিয়াহ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আসছে কিছুদিনের মধ্যেই দেশটিতে আরো ১০ হাজার থেকে দুই লাখ মানুষ করোনায় সংক্রমিত হতে পারে। দেশটির চারটি পৃথক গবেষণা মতের ভিত্তিতে তিনি সংবাদমাধ্যমকে এই সতর্কবার্তা দেন।
শুধু স্বাস্থ্যমন্ত্রীই নন, সৌদি বাদশাহ সালমানও করোনা এড়াতে তাঁর চূড়ান্ত নির্দেশ জারি করেছেন। এমনকি যেসব শিশুদের বাবা-মা আলাদা থাকেন তাদেরকে সন্তানদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত বন্ধে জারি করেছেন বিচারিক আদেশ।
দেশটিতে ইতোমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওমরাহ হজ্জ। এমনকি সৌদি নাগরিকরাও অংশ নিতে পারবেন না ওমরাহতে। যা চলবে রোজার শেষ পর্যন্ত। অথচ গেল রোজায় ৭০ লাখের বেশী মানুষ ওমরাহ করতে সৌদি আরবে যান।
সংবাদ সূত্র : আল আরাবিয়া