|| সাগর চৌধুরী, মধ্যপ্রাচ্য প্রতিনিধি ||
সারাবিশ্বে যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী তখন সৌদি আরব সহ সমস্ত আরব বিশ্বে কমছে এর পাদুর্ভাব। স্বাস্থ্যবিধি মানতে কড়াকড়ি আরোপ এবং সম্পূর্ণ ফ্রীতে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের ফলে প্রতিদিনই সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। গ্লোবাল রেকর্ডে সৌদির বর্তমান অবস্থান ৩১, যেখানে আমেরিকা এক এবং আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারত রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২ ডিসেম্বর দেশটিতে করোনাক্রান্ত হয়েছেন ২৪৯, সুস্হ হয়ে ঘরে ফিরলেন ৩৩৭ এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১২ জন। সবমিলিয়ে সেখানে করোনায় ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮ শত ৭২ জন আক্রান্ত, ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৫ শত ১৩ জন সুস্থ ও ৫ হাজার ৯ শত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সর্বমোট ৯ শত ৮০ বাংলাদেশির। এদের মধ্যে রিয়াদ অঞ্চলে ৫২০ এবং জেদ্দা অঞ্চলে ৪৬০ জন।
সৌদি আরবের বৃহৎ শহরে দুই ডিজিট এবং ছোট শহর গুলোতে এক ডিজিটে নেমেছে সংক্রমণের হার। জাতীয় পর্যায়ে এখন তিন ডিজিট থাকলেও শীঘ্রই দুই ডিজিটে নামার প্রত্যাশা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে কাজ করছে কতৃপক্ষ।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিধি না মানা এবং মাস্ক পরিধান না করায় শুধুমাত্র গত এক সপ্তাহে জরিমানা ও শাস্তি দেওয়া হয়েছে ১২ হাজার ৮ শত ৫৫ জনকে।
মক্কা মসজিদুল হারামে কয়েকজন ওমরাহ যাত্রীর করোনা চিহ্নিত হওয়ায় আরও জোরদার করা হয়েছে ভাইরাস ও জীবাণুমক্তকরণ তৎপরতা । তাছাড়া কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে স্বাস্থ্য বিধিতে। থার্মাল ক্যামেরার মাধ্যমে বাড়িছে তাপমাত্রা পর্যক্ষণের মাত্রা।
মহিলা ওমরাহকারিদের সেবায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আরও বেশি মহিলা। স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যাও বেড়েছে কয়েকগুণ। এছাড়াও হারামাইন কতৃপক্ষ গঠন করেছে “পরিবেশ ও স্বাস্থ্য রক্ষা” বিভাগ নামে একটি স্বতন্ত্র শাখা।