|| বার্তা সারাবেলা/বিবিসি ||
ভারত ও নেপাল সীমান্তে ভারতের তৈরি একটি পার্বত্য রাস্তা নিয়ে জোরালো সংঘাতে জড়িয়েছে দুইদেশ। গেল ৯ই মে সীমান্তের লিপুলেখ এলাকায় এই রাস্তার উদ্বোধন করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এরপরই সরব হয় নেপাল। জানায় ওই এলাকা তাদের ভূখন্ড। তবে ভারত বলছে, নতুন রাস্তাটি তাদের ভূখন্ডের ভেতরেই তৈরি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে নেপাল পার্লামেন্টে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। এরপর সোমবার নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাঠমান্ডুতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে তার হাতে একটি প্রতিবাদসূচক নোট তুলে দেন।
ভারতের উত্তরাখন্ড, চীনের তিব্বত আর নেপালের সীমানা যেখানে মিশেছে সেখানে হিমালয়ের একটি গিরিপথের নাম লিপুলেখ। ওই গিরিপথের দক্ষিণের ভূখন্ড ‘কালাপানি’ ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নেপাল তাদের অংশ বলে দাবি করে আসছে।
গত সপ্তাহে লিপুলেখের সঙ্গে সংযোগকারী নতুন একটি ৮০ কিলোমিটার লম্বা পার্বত্য রাস্তার উদ্বোধন করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর তার পরই এর বিরুদ্ধে নেপালের পার্লামেন্টে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান সদস্যরা।
নেপালি কংগ্রেসের সংসদ সদস্য পুষ্পা ভূষল গৌতম বলেন, “১৮১৬ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও নেপালের মধ্যে স্বাক্ষরিত সাগাউলি চুক্তি মত ওই এলাকা সম্পূর্ণভাবে নেপালের।”
নেপালের আরেক সংসদ সদস্য গগন থাপা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “নেপালের এক ইঞ্চি জমিও কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। আর ভারতের এই দাদাগিরির বিরুদ্ধে নেপালের সিংহভাগ মানুষ গর্জে উঠবে।”
এই ইস্যুতে ভারতকে ডিপ্লোম্যাটিক নোট পাঠানো হলেও চীনের বিরুদ্ধেও কেন একই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না–এমন প্রশ্ন তুলেছেন নেপাল সদ্ভাবনা পার্টির সংসদ সদস্য সরিতা গিরি।
এদিকে পার্লামেন্টে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ গাওয়ালি জানান, ২০১৫তে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের পরই ওই দুই দেশ লিপুলেখে একটি বাণিজ্যিক পোস্ট খুলতে সম্মত হয়। যা নেপাল কখনওই মেনে নিতে পারেনি। এরপরই নেপাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজেদের জায়গাতে ভারতের রাস্তার তৈরির তীব্র নিন্দা করে দীর্ঘ বিবৃতি দেয় এবং কাঠমান্ডুতে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় মোহন কাটরাকে সিংদরবারে তলব করা হয়।