|| বার্তা সারাবেলা/রয়টার্স ||
সাধারণ জনগণকে করোনাভাইরাসের (কোভিড–১৯) টিকা নেয়ার অনুমোদন দিয়েছে চীন। বৃহস্পতিবার দেশটির সরকার রাষ্ট্রীয় সহায়তাপ্রাপ্ত ওষুধ প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের তৈরি এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। শীত মৌসুমে এ ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে এই পদক্ষেপ নিল দেশটি। যদিও সিনোফার্মের এই টিকার কার্যকরিতা সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য এ পর্যন্ত জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি চীন। খবর রয়টার্সের।
বেইজিং বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস ইনস্টিটিউট (সিনোফার্মের সহযোগী প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপের একটি শাখা) গতকাল বুধবার বলেছে, এই টিকা করোনা প্রতিরোধে ৭৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ কার্যকর।
চীন এমন একসময় সিনোফার্মের টিকার অনুমোদন দিল, যখন এর এক দিন আগে যুক্তরাজ্য কোভিডের দ্বিতীয় টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। দেশটিতে করোনার নতুন ধরনের (স্ট্রেইন) সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার এ টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় দেশটি।
এর আগে চলতি মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) প্রথমবারের মতো চীনের এ টিকা নিজ দেশে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
কোভিড–১৯–এর টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের তুলনায় ধীরগতিতে চলছিল চীন। এখনো দেশটিতে কয়েকটি টিকার শেষ ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে।
গত জুলাই মাসে বিভিন্ন খাতের অপরিহার্য কর্মী ও সংক্রমণের উচ্চঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের ওপর টিকার জরুরি প্রয়োগে এক কর্মসূচি শুরু করেছিল চীন।
চীনের ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলেছে, টিকার আইনি অনুমোদন দেওয়া শর্তসাপেক্ষ বিষয়। পরীক্ষায় নিরাপদ ও কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া যায় না।
চীন এমন একসময় সিনোফার্মের টিকার অনুমোদন দিল, যখন এর এক দিন আগে যুক্তরাজ্য কোভিডের দ্বিতীয় টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। দেশটিতে করোনার নতুন ধরনের (স্ট্রেইন) সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার এ টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় দেশটি।