|| অন্যদেশ ডেস্ক ||
ভারতে শ্রমদিবস হচ্ছে ১২ ঘন্টার। এজন্য দেশটির ১৯৪৮ সালের কারখানা আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে মোদি সরকার। দেশের ট্রেড ইউনিয়নগুলো বলছে, করোনা সংকট ব্যবহার করে নিজের দারিদ্রবিরুদ্ধ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবার চেষ্টায় নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তারা এও বলছেন, এটি করা হলে চলমান করোনাদুর্যোগের মাঝেও আরেক দুর্যোগে পড়বেন তারা। যে দুর্যোগ তাদের জন্য হবে দীর্ঘমেয়াদের। এর জোরালো বিরোধিতা করছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল জাতীয় কংগ্রেস ও বাম দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়নগুলো।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গোয়ারের কাছে এক যৌথ চিঠিতে ট্রেড ইউনিয়নগুলো জানিয়েছে, সরকার প্রচলিত শ্রমআইন সংশোধনে চলমান করোনা সংকটকে কাজে লাগাচ্ছে। চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্য যদি সঠিক হয়, তাহলে বর্তমান বেকারত্বের হার ২৩ দশমিক ৭ গিয়ে ঠেকবে। আর তাতে করে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।
কংগ্রেস সমর্থিত আইএনটিইউসি, সিপিএম সমর্থিত সিআইটিইউসহ অন্য ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের সই করা ঐ চিঠিতে এও উল্লেখ করা হয়, এই ধরণের শ্রমিকবিরুদ্ধ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে শ্রমিকদের আরো বেশী সময় কাজে বাধ্য করা হলে, এটাই প্রমাণিত হবে যে, বর্তমান সরকার শ্রমিকদের দুর্ভোগ দুর্দশাকে কোনভাবেই আমলে নেন না।
আসলে দেশের শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে কীভাবে দিন পার করছে এনিয়ে তাদের কোন চিন্তাও নেই। আসলে সরকার শ্রমিকদের শ্রম ও ঘামের বিনিময়ে কর্পোরেটদের মুনাফাই নিশ্চিত করতে চাইছে।
এদিকে সিপিআই সমর্থিত এআইটিইউসি নেতা সুকুমার ডামলে বলেছেন, সরকার আমাদের ঐতিহাসিক অর্জনকে পাল্টে দেয়ার দু:সাহস দেখাচ্ছেন। বহু সংগ্রাম আর আত্মত্যাগে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকরা আজকের এই আট ঘন্টার শ্রমদিবস অর্জন করেছে। শ্রমিকদের রক্তার্জিত সেই অধিকার হরণ করে শোষনের সীমাকে সীমাহীন করতে চাইছে মোদি সরকার।#
