|| অন্যদেশ ডেস্ক ||
করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনের মধ্যেই কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করেছে ভারত ও পাকিস্তান। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর দিয়ে বলেছে, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার থেকে দেশটির বিভিন্ন শহরের আবাসিক এলাকার ছোট ছোট দোকানপাট খোলার অনুমতি দিয়েছে। তবে সংক্রমণ সবথেকে বেশী এমন এলাকাগুলোতে বিধিনিষেধ আগের মতই থাকবে। এসব এলাকায় মদ ও নিত্য দরকারি নয় নয় এমন বেশিরভাগ জিনিসের বিক্রি আগের মতোই বন্ধ থাকবে।
ভারতীয় সম্প্রচার মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, কেবল আবাসিক এলাকাই নয়, শহর ও শহরাঞ্চলের বাইরে বিভিন্ন বাজারের দোকানও খোলার অনুমতি দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে মল ও সুপারমার্কেটগুলো বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার রাতে দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়, বিধিনিষেধ শিথিলের আওতায় যেসব দোকানপাট খোলা যাবে, সেখানে আগের তুলনায় ৫০ শতাংশের বেশি কর্মী থাকতে পারবে না। কর্মীদেরকে অবশ্যই মাস্ক ও গ্লাভস পরতে হবে; মানতে হবে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনাও। ই-কমার্স সংস্থাগুলোও অত্যাবশকীয় পণ্যের ডেলিভারি দিতে পারবে।
ভারতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ হাজার ৫০৬ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে; মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৭৭৫। দেশটিতে আগামী ৩রা মে পর্যন্ত লকডাউন দেয়া আছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া যায় তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনাও চলছে।
এদিকে পাকিস্তানে ৯ই মে পর্যন্ত লকডাউন দেয়া থাকলেও দেশটির সরকার শনিবার থেকে সতর্কতামূলক নির্দেশনা মেনে কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে জোর তৎপরতা শুরুর কথাও জানিয়েছে দেশটি।
পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আসাদ উমর বলেছেন, “আক্রান্ত এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের পৃথক করার মাধ্যমে আমরা যেমন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো, তেমনি অর্থনীতিকে সচল করে লোকজনকে কাজে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারবো।” পাকিস্তান সরকারের করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নেওয়া পদক্ষেপসমূহ দেখভাল করার দায়িত্ব রয়েছে আসাদ উমরের ওপর।
রোজার মাসে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তার উপরই সরকারের পরবর্তী সব সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে বলেও জানান আসাদ উমর। রোজায় সিন্ধু প্রদেশ ছাড়া বাকি সব এলাকার মসজিদগুলোও খুলে দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সিন্ধুতে কোভিড-১৯ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে, চিকিৎসকদের এ সতর্কতার পর সেখানকার মসজিদগুলোর ওপর বিধিনিষেধ বহাল রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটির ১১ হাজার ৯৪০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে; মৃত্যু ছাড়িয়েছে আড়াইশ।