যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ৫ লাখের বেশী একদিনে মারা গেছে ২১০৮ জন

||অনলাইন ডেস্ক||
করোনার হার না মানা সংক্রমণ বিস্তারে যুক্তরাষ্ট্রে একদিনেই রেকর্ড দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ লাখ। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের উহানে সৃষ্ট করোনাভাইরাস গেল সাড়ে তিন মাসে বিশ্বজুড়ে লাখো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে; আক্রান্ত-শনাক্ত হয়েছে ১৬ লাখের বেশি মানুষ।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি; শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ১ হাজার পেরিয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৫৮ তে।
কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর সংখ্যায় সবার উপরে থাকা ইতালিকেও দেশটি প্রায় ধরে ফেলেছে। শনিবার পর্যন্ত ইতালিতে করোনাভাইরাসে ১৮ হাজার ৮৪৯ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।
একদিনে রেকর্ড ২ হাজার ১০৮ জন মারা গেলেও হোয়াইট হাউসের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন ও নানান বিধিনিষেধের ফলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আক্রান্তের হারের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা আগের ধারণার চেয়ে অনেক কম হবে। শুরুর দিকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে এক থেকে দুই লাখ মানুষ মারা যাবার আশঙ্কা করা হয়েছিল। কয়েকদিনের তথ্য তুলে ধরে নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো বলেছেন, তারা আক্রান্ত-মৃতের গ্রাফকে ‘সমতল করতে’ পেরেছেন।
এদিকে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় যতজন মারা গেছেন, তার প্রায় অর্ধেকই নিউ ইয়র্কের। শহরটির হার্ট আইল্যান্ডের একটি গণকবরে থরে থরে সাজানো কফিনের ছবিটি দেখার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্পও।
হোয়াইট হাউসের টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য ড. ডেবোরাহ বার্ক্স বলেছেন, সংক্রমণের হার স্থিতিশীল হওয়ার লক্ষণ মিললেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো আক্রান্তের ‘সর্বোচ্চ শিখরে’ পৌঁছায়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ১৭ই এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের মারা যাওয়ার সংখ্যা সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাবে, এরপর কমতে শুরু করে মে মাসের ১ তারিখের দিকে ৯৭০ এর কাছাকাছি পৌঁছাবে। অর্থনীতি ফের সচল করতে ওই দিন থেকেই দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে দেওয়া বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার চিন্তা চলছে।
টাস্ক ফোর্সের আরেক সদস্য ড. অ্যান্থনি ফাউচি ‘আসছে দিনগুলোতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা স্থিতিশীল ও ধীরে ধীরে নেমে আসতে দেখা যাবে’ বলে মন্তব্য করেছেন।
সংক্রমণের বিস্তৃতি ঠেকাতে ‘সামজিক দূরত্বের’ মতো নির্দেশনাগুলো আরও কিছুদিন রাখা উচিত হবে বলেও সুপারিশ তার।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন