|| সারাবেলা ডেস্ক ||
করোনা সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে ভারতে লকডাউন চলবে ৩রা মে পর্যন্ত। তবে বিধিনিধেষ শিথিল হবে কিনা তা আসছে ২০ তারিখের পরই ভেবে দেখবে দেশটির সরকার। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দেশবাসির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষনে একথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জারি করা বিধিনিধেষ দেশের কোনো অংশে শিথিল করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত ২০ এপ্রিলের পর নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভি জানায়, দেশটিতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের কোঠা পার হওয়ার অল্প কিছুক্ষণ পর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষনের আসেন নরেন্দ্র মোদি।
২৫ মিনিটের ওই ভাষণে মোদী বলেন, “সব পরামর্শ আমলে নেওয়ার পর আমরা লকডাউন ৩রা মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে লকডাউন মানা হচ্ছে কিনা তা দেখতে প্রত্যেকটি জেলা, প্রত্যেকটি রাজ্যকে ২০শে এপ্রিল পর্যন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর আমরা বিধিনিষেধ শিথিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। ২০শে এপ্রিলের পর যেসব এলাকায় পরিস্থিতির উন্নতি হবে সেসব এলাকায় কিছু জরুরি কর্মকাণ্ড শুরু করার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।”
তিনি বলেন, “এই ভাইরাসটি যেন দেশের অন্য কোনো অংশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হবে আমাদের। ভাইরাসে দেশের কোনো অংশে কারও মারা যাওয়ার কথা শুনে আমাদের সবসময় উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। নতুন হটস্পট যেন তৈরি না হয় আমাদের তা নিশ্চিত করতে হবে।”
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেক উন্নত দেশের তুলনায় ভারতের অবস্থা অনেক ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি। দ্রুত সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণেই এমনটি সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।
সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, বয়োবৃদ্ধ ও দরিদ্রদের সেবা করা, চাকরি রক্ষা করা এবং চিকিৎসক ও কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইরত অন্যান্য কর্মীদের ওপর আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
২৪শে মার্চ লকডাউন জারি করার পর থেকে ভারতে লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে আছে। এতে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরে অনেকটাই নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।
দেশটিতে ১৪ই এপ্রিল, মঙ্গলবার মধ্যরাতে লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা আরও ১৯ দিন বাড়ানোর ঘোষণা দিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ করা পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৪৫৩ জন ও মৃতের সংখ্যা ৩৫৮ জন।#
