।। সারাবেলা আন্তর্জাতিক ।।
নতুন করে প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সান্ডার লুকাসেঙ্কো বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছেছে ইউরোপের দেশ বেলারুশে। রোববার দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ রাজধানী মিনস্কে বিক্ষোভে জমায়েত হতে শুরু করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, জলকামানের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সামগ্রী নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মিনস্কে দাঙ্গা পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।
কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর কড়াকড়ি উপেক্ষা করে হাজারও মানুষ বিক্ষোভ করছেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। এছাড়া পুলিশ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকেও আটক করেছে।
প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সান্ডার লুকাসেঙ্কোর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন দেশটির হাজার হাজার মানুষ। এক মাস আগে দেশটির নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতি করে লুকাসেঙ্কো পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। এই নির্বাচন বাতিলের দাবিতে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের দমনের অভিযোগ উঠেছে দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে। গত মাসের নির্বাচনের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে বিক্ষোভ-সহিংসতায় অন্তত চারজনের প্রাণহানি ও আরও শত শত মানুষ আহত হয়েছেন।
সরকারি দমন-পীড়নের মুখে বিরোধীদলীয় অনেক নেতাকর্মী দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। শনিবার দেশটির মানবাধিকার কর্মী ওলগা কোভালকোভা কারাবন্দির হুমকির মুখে প্রতিবেশি পোলান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন।
১৯৯৪ সাল থেকে বেলারুশের ক্ষমতায় আছেন প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সান্ডার লুকাসেঙ্কো। দেশটির অভ্যন্তরীণ সঙ্কটে পশ্চিমা বিশ্বের হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন তিনি। বিক্ষোভকারী, মানবাধিকার কর্মী এবং পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কঠোর নিপীড়নের মাধ্যমে দমন করছে দেশটির দাঙ্গা পুলিশ। একটি স্বাধীন নির্বাচনী জরিপে দেখা গেছে, লুকাশেঙ্কো আসলে পেয়েছেন ৪০ শতাংশ ভোট। আর তাঁর প্রতিযোগী স্ভেতলানা টিখানোভসকিয়া পেয়েছেন প্রায় ৪৮ শতাংশ ভোট। বিরোধীদের দাবি, পরাজয় মেনে আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। এরই প্রতিক্রিয়া হিসেবে বেলারুশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জনবিক্ষোভ দেখছে বিশ্ব।