তুরস্কে ৩২ হাজার কোটি ঘনমিটার গ্যাসের খোঁজ প্রভাব বাড়াবে বিশ্বরাজনীতিতে

দেশটির এমন বিশাল জ্বালানির মজুদ তুরস্ককে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে আরো বেশী প্রভাব রাখতে সক্ষম করে তুলবে বলে ধারনা করছেন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।

|| বার্তা সারাবেলা ||

কৃষ্ণসাগরে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল এক ভান্ডার খুঁজে পেয়েছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রেদওয়ান তাইপে এরদোগান জানিয়েছেন, সদ্য খুঁজে পাওয়া এই ভান্ডারে গ্যাসের পরিমান ৩২০ হাজার কোটি ঘনমিটার। বিশাল এই গ্যাসের মজুদ দেশটিকে জ্বালানি রফতানিকারক হয়ে ওঠার লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়ক হবে বলেও জানিয়েছেন এরদোগান।

এদিকে দেশটির এমন বিশাল জ্বালানির মজুদ তুরস্ককে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে আরো বেশী প্রভাব রাখতে সক্ষম করে তুলবে বলে ধারনা করছেন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, এরদোগানে এমনিতেই যে ধরণের একচ্ছত্র প্রভাব রাখতে মরিয়া, তাতে করে এই জ্বালানি নিরাপত্তা তুরস্ককে আরো মরিয়া করে তুলবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কেননা এতোদিন দেশটি তার জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য রাশিয়া, ইরান ও আজারবাইজানের মত দেশগুলোর ওপর যে নির্ভরতা রাখতো এই গ্যাস সেই নির্ভরতাকে একেবারে শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনবে।

গেল বুধবার দেশের জ্বালানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট এরদোগান গ্যাস একটি ‍“ভাল খবর” আছে বলে ইঙ্গিত দিলেও শুক্রবার ঘোষনা করেন, ড্রিলিং জাহাজ ফেইথ কৃষ্ণসাগরে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল এক ভান্ডার খুঁজে পেয়েছে। যেখানে প্রায় ৩২ হাজার কোটি ঘনমিটার গ্যাস রয়েছে।

রাজধানী ইস্তাম্বুলের দোলমাবাসে প্রাসাদে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠকে এরদোগান বলেন, তুরস্ক এই গ্যাস ২০৩০ সাল নাগাদ কাজে লাগাতে শুরু করতে চায়। কৃষ্ণসাগরের আরো প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানান এরদোগান। তিনি এও বলেন, “ভূমধ্যসাগরেও আমরা একই ধরণের ভাল খবর পাবো বলে আশা করছি। এজন্য সেখানে ড্রিলিং কাজ চলছে।”

তুরস্কের ড্রিলিং জাহাজ ফেইথ গেল জুলাইয়ের শেষ দিকে উপকূলের ১০০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে কৃষ্ণসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে খনন কাজ শুরু করে।

তুরস্কের জ্বালানি মন্ত্রী ফেইথ দনমেইজ বলেন, নবম দফা খনন কাজের সময়ে তারা এই গ্যাসের খোঁজ পেয়েছেন। সাগরের সাড়ে তিন হাজার মিটার গভীরে আরো দুটি গ্যাসের স্তর পাওয়া গেছে। যেখানে একই পরিমাণ গ্যাস থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।”
প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ঘোষণার পর দেশটির অর্থমন্ত্রী বেরাত আলবায়ার্ক বলেছেন, এই গ্যাস ব্যবহার শুরুর পর দেশে আর কোন জ্বালানি ঘাটতি থাকবে বলে আশা করছেন তারা। বরং উদ্বৃত্ত থাকবে জ্বালানির মজুদ।

তথ্যসূত্র: বিদেশি বার্তা সংস্থা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন