|| চৌধুরী জহিরুল ইসলাম, নিউইয়র্ক থেকে ||
হাজার-হাজার মানুষ ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, সিয়াটল, শিকাগো, ফিলাডেলফিয়া, মেনিয়াপলিস, লসএঞ্জেলেসের রাস্তায়। কেঁপে উঠেছে আমেরিকার ছোট-ছোট শহরগুলোও। মানুষ ঘরে বসে নেই।
পুঁজিতান্ত্রিক ঘরাণার রাজনীতির ভাষায় যাকে বলে- “সিভিল ডিজঅবিডিয়েন্স”! তাই চলছে গোটা আমেরিকাতে। কারফিউ মানছে না, পুলিশের বেরিকেড মানছে না! আমাদের দেশীয় ভাষায় “আইন অমান্য আন্দোলন”!
এমন আন্দোলনই দেখেছিল আমেরিকা ১৯৬৪ সালে। মার্টিন লুথার কিং-এর নেতৃত্বে “সিভিল রাইটস মুভমেন্টের” সময়। সাদা-কালো-পিঙ্গল সব বর্ণের মানুষ এক হয়েছিল। তখন তারা জানিয়েছিল- কোনো একজন নাগরিকের বাঁচার অধিকার পদদলিত হওয়া মানে সকল নাগরিকের অধিকার পদদলিত হওয়া!
কিন্তু করোনার এই বিপদ মাথায় নিয়ে, মুখে মাস্ক বেঁধে ছুটে চলেছে, এরা কারা? কারা এই প্রতিবাদের সামনের সারিতে? বাইরের দুনিয়া মনে করছে এটি মনে হয় সাদা এবং কালোর বিভেদসৃষ্ট। বর্ণবাদের সহিংস প্রকাশ।

এমন ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নতুন নয়। সাদা পুলিশের হাতে কালো নাগরিকের মৃত্যুও অনভিপ্রেত নয় মোটেও। প্রতিবাদের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। কিন্তু এমন প্রতিবাদ আগে কথনো কেউ দেখেনি!
আগুন দেওয়া কিংবা লুট করার ঘটনা ঘটেছে কিছু জায়গায়। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন কিংবা বাইরের দুনিয়া একেই ফলাও করে দেখছে ও দেখাচ্ছে। পুঁজি সমর্থিত গণমাধ্যমগুলোও লুটতরাজ আর প্রতিবাদকে এক করে দেখাতে সচেষ্ট। তালি বাজাচ্ছে চীন, রাশিয়ার মত একদলীয় শাসকচক্র। এমনকি ধর্মভিত্তিক শাসন জারির আশা নিয়ে লেজ নাড়াচ্ছে আলকায়দা কিংবা আইসিসির মত জঙ্গী সংগঠনের সমর্থকরাও!
এদের কারোরই গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার মর্ম অনুধাবনের ক্ষমতা নেই! উপনিবেশকতা, বর্ণবাদ, গৃহযুদ্ধ, সিভিল রাইটস মুভমেন্টের পথ ধরে আমেরিকার গণতন্ত্র বিকশিত হয়েছে। কখনো রাজনৈতিক দলগুলোর দূর্বলতার সুযোগে বিভেদকামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে ঠিকই। কিন্তু জনরোষের পথেই রাজনৈতিক ক্ষমতা থেকে নির্বাসিত হয়েছে তারা।
যত বিপদ আসুক, আমেরিকা কখনও নেতৃত্বশূন্য হয়নি। এই বিপদের দিনে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট জনগণের সামনে এসেছেন। জানিয়েছেন তাদের নিজ নিজ অবস্থান।
প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ বিবৃতি দিয়েছেন। এবং বারাক ওবামা নিজে টেলিভিশন লাইভে কথা বলেছেন। তাদের এই উপস্থিতি চলমান আন্দোলনে নতুন শক্তি যোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জর্জ বুশ বলেছেন, “আমেরিকার ঐক্যের নায়ক- ফ্রেডেরিক ডগলাস থেকে শুরু করে হ্যারিয়েট টাবম্যান। আব্রাহাম লিংকন থেকে শুরু করে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র। জনগণের প্রতি তাদের আহ্বান কখনও হতাশার পক্ষে ছিল না। তারা এই জাতির বিরক্তিকর ধর্মান্ধতা এবং শোষণকে উন্মোচন করেছিল। যদিও আমেরিকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর পক্ষে কখনও কখনও আমাদের জাতির কলঙ্কের দাগগুলি পরখ করা কঠিন।



লরা (সাবেক ফার্স্ট লেডি) এবং আমি জর্জ ফ্লয়েডের নৃশংস শ্বাসরোধে বেদনাহত! এবং এই নিষ্ঠুরতা আমাদের দেশে যে অবিচার ও শঙ্কার সৃষ্টি করেছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। তবুও আমরা কথা বলার তাগিদকে টেনে ধরছি। কারণ আমাদের বক্তৃতার সময় এখন নয়।
সময় এসেছে আমাদের শোনার। আমেরিকার জন্য আমাদের দুঃখজনক ব্যর্থতাগুলো পরীক্ষা করার সময় এসেছে- এবং আমরা যেমন করব, তেমনি আমরা আমাদের কিছু ক্ষত থেকে মুক্তির শক্তিও দেখতে পাব।
এটি একটি জ্বলজ্যান্ত ব্যর্থতা হিসেবে রয়ে গেছে যে, অনেক আফ্রো-আমেরিকান, বিশেষত তরুণ আফ্রো-আমেরিকান পুরুষরা তাদের নিজের দেশে হয়রানি ও হুমকির শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষী বাহিনী দ্বারা পরিবেষ্টিত থেকেও বিক্ষোভকারীরা যখন আরও উন্নত ভবিষ্যতের জন্য পদযাত্রা করেন, তখন এটি শক্তির প্রকাশ ঘটায়। একই ধরণের ট্রাজেডি থেকে পরিত্রাণের সুযোগ সৃষ্টি করে।
আমরা কীভাবে আমাদের সমাজে চলমান বর্ণবাদকে শেষ করব? সত্যিকারের আলোতে নিজেকে দেখার একমাত্র উপায় যাঁরা বেদনাদায়ক শোক বহন করছে তাদের বক্তব্য শোনা।
দীর্ঘকাল ধরে আমেরিকার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, একেবারে ভিন্ন ধারার মানুষকে ন্যায়বিচার এবং সুযোগ লাভের ক্ষেত্রে একত্রিত করা। জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের মতবাদ এবং অভ্যাসগুলো, যা একবার আমাদের দেশকে প্রায় বিভক্ত করেছিল, এখনও সেটিই আমাদের রাষ্ট্রকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
আমেরিকান সমস্যার উত্তরটা আমেরিকান আদর্শের মধ্যেই পাওয়া যায়। আমাদের বেঁচে থাকা নির্ভর করে এই আদর্শ তুলে ধরবার ওপর।
ঠিক এখন আমরা যেখানে দাঁড়িয়েছি, অনেকে আমাদের দেশের ন্যায়বিচার নিয়ে সন্দেহ করেন এবং সঙ্গত কারণেই। আমরা জানি যে স্থায়ী ন্যায়বিচার কেবল শান্তিপূর্ণ উপায়েই আসবে। লুটপাট মুক্তি নয়, ধ্বংসও অগ্রগতি নয়।
তবে আমরা এটাও জানি যে, আমাদের স্থায়ী শান্তির জন্য সত্যই সমান ন্যায়বিচার প্রয়োজন। আইনের শাসন শেষ পর্যন্ত আইনী ব্যবস্থার ন্যায্যতা এবং বৈধতার ওপর নির্ভর করে। এবং সবার জন্য ন্যায়বিচার অর্জন করা সবার কর্তব্য।
এরজন্য প্রয়োজন একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ, সাহসী এবং সৃজনশীল প্রচেষ্টা। আমরা যখন আমাদের প্রতিবেশীদের অভিজ্ঞতা বোঝার চেষ্টা করি তখন আমরা সর্বোত্তম সেবা করি। সুরক্ষা এবং সহমর্মিতা নিয়ে আমরা যখন আমাদের প্রতিবেশীদেরকে সমান হিসাবে দেখি, তখন আমরা তাদেরকে নিজের মতো করে ভালবাসি।
এর চেয়ে আরও ভাল উপায় আছে- সহানুভূতির উপায়, এবং অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি। সাহসী পদক্ষেপ এবং ন্যায়বিচারের পথ ধরে শান্তি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, একসাথে আমেরিকানরা আরও ভাল উপায় বেছে নেবে।
আন্দোলন শুরুর পর প্রথমবারের মত টেলিভিশনে লাইভে এসে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দেশের সবগুলো শহরের মেয়রদের প্রতি পুলিশ বিভাগে সংস্কারের আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন- “আমার জীবদ্দশায় এমন সঙ্কট দেখিনি!”
এই সঙ্কট পুলিশি সহিংসতা রোধের একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যা ন্যায়বিচার এবং পুলিশের সংস্কারকে ঘিরে দেশকে একত্রিত করার একটি রাজনৈতিক “জাগরণের” প্রেরণা যোগায়।



মি. ওবামা গত সপ্তাহে দু’টি লেখা পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি তরুণ প্রতিবাদকারীদের ক্রোধকে রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত করার আহবান জানিয়েছেন। তিনি নভেম্বর মাসে ভোটের মাধ্যমে ডেমোক্রেট প্রার্থী জোসেফ বাইডেনকে নির্বাচিত করার আহবান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ এবং তাদেরকে দায়বদ্ধ করতে স্থানীয়পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি নেওয়ার কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, “আমাদের রাষ্ট্রপতি, কংগ্রেস এবং ফেডারেল বিচার বিভাগ রয়েছে যারা আমাদের সমাজে চলমান বর্ণবাদের ক্ষতিকর প্রবণতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। নাম না নিয়ে তিনি তার উত্তরসূরির ভূমিকার সমালোচনাও করেছেন।
মি. ওবামা করোনভাইরাস মহামারী সম্পর্কে বর্তমান প্রশাসনের প্রতিক্রিয়াটিকে “বিশৃঙ্খল” বলে তিরস্কার করেছেন। এবং “আইনের শাসনের” প্রতি ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বারাক ওবামার এমন অবস্থান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, চলমান ঘটনাপ্রবাহে মি. ওবামার আবেগ গত কয়েক দিন ধরে উচ্চমাত্রায় রয়েছে। তিনি তার সময়কার এটর্নি জেনারেল মিঃ হোল্ডার সহ ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের সাথে ফোনে কাজ করছেন।
বিক্ষোভের প্রতি হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়ায় নিজের ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। এবং সঙ্কটকে প্রভাবিত না করে সমস্যা সমাধানের সর্বোত্তম উপায়ের কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
এদিকে ট্রাম্পের বর্তমান এবং সাবেক দুই ডিফেন্স (নিরাপত্তা) সেক্রেটারি প্রতিবাদ বিক্ষোভ দমনে সামরিক শক্তি প্রয়োগের বিরোধিতা করেছেন। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এখন সামরিক শক্তি নামানোর পক্ষে নয় বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের এক মিডিয়া কর্মকর্তা।



পুঁজি নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রচারিত খবরে বাইরের বিশ্ব মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রে বোধ করি সাদা-কালো বিরোধে জ্বলে উঠেছে। কালোরা রাস্তায় নেমেছে। কালোরা লুটপাট করছে। আগুন দিচ্ছে। সাদা ও বাদামী (এশীয়- চীনা ও ভারতীয়)-রা ঘরে বসে টিভিতে তামাশা দেখছে!
সুযোগ সন্ধানী ভারতীয় ও চীনারা প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সামনের কাতারে না থাকলেও সাদারা বসে নেই। বিক্ষোভকারীদের অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ সাদা।
পুলিশের সামনে, মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তারা নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এবং এরা সবাই তরুণ প্রজন্মের। নভেম্বরের নির্বাচনে আশা করা যায়, এরাই হবে নতুন আমেরিকার শক্তির উৎস।
মিশিগানে বসবাসকারী আমার এক বন্ধু কালি শংকর দেব আমার এক স্টেটাসের মন্তব্যে বলেছেন- “আমেরিকা নিয়ে কথা বলতে গেলে এক কথায় শেষ হবে না। আলোচনা করে বোঝানো যাবে না বাইরের পৃথিবীকে। কারন স্বাধীনতা ও অধিকার (freedom and rights) আসলে কী, এখানে ৪/৫ বছর না থাকা পর্যন্ত কিছুই বুঝবে না ।
যুক্তরাষ্ট্রে সাদা কালোতে বৈষম্য আছে । সবাই জানে। ওরাও স্বীকার করে। ওরা এখন বুঝতে পারছে পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে।
আমেরিকার সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কেও বাইরের মানুষের ধারণা অল্প। মানুষ সরকারকে যেভাবে সমালোচনা করে, তোমার-আমার সরকার কি সেটা সহ্য করবে বা করেছে?
খোদ হোয়াইট হাউসে বসে যা ইচ্ছা বলে সাংবাদিকরা। অদক্ষ প্রেসিডেন্ট আসতে পারে। নিক্সন এসেছিলেন, থাকতে পারেন নি। বিল ক্লিনটন মাফ চেয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন। আর উনি! জানি না কি হবে! তবে জনরোষ বাড়ছে।
তুমি কি মনে কর জর্জ ফ্লয়েড মারা গেল আর অমনি শুরু হয়ে গেল? আমি তা মনে করি না। জনগন এই করোনা দুর্যোগের সময় এত সরকারি সহায়তা পেয়েও ফুসে উঠল কেন? সব মিলিয়ে এরা এদের রাস্তা খুঁজে নেবে সেটা বেশী দুরে নয় । We love America. God bless America।”
পরিশেষে বলবো বর্ণবৈষম্য সত্ত্বেও আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট এসেছিলেন। অপরদিকে বাংলাদেশে একজন হিন্দু কিংবা ভারতে একজন মুসলমান সরকার প্রধান হওয়া তো দুরের কথা স্বপ্নেও দেখবে না কেউ কোনোদিন!”
তার মন্তব্যে য়ুক্ত করে বলছি- “বর্ণবাদের ব্যাপারে আমেরিকার সমালোচনা আছে সত্য। খোদ প্রেসিডেন্টেরও সমালোচনা করতে পারে যে কেউ তার সামনে বসে। আমাদের দেশগুলোতে কি সাম্প্রদায়িকতা নেই? ভারত, চীন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা কি খুব সুখে আছে?
হতে পারে, আমেরিকার দু:সময় যাচ্ছে একজন ডিভাইসিভ (বিভেদকামী) প্রেসিডেন্টের কারণে। কিন্তু গণতন্ত্রের বিকল্প নেই। যারা ইসলামী কিংবা ধর্মপন্থী শাসনের কথা বলে, তারা আসলে জঙ্গী শাসন ফিরিয়ে আনতে চায়। এমন কি চীনের মত কমিউনিস্ট(!) শাসনও বিকল্প নয়।
গণতন্ত্রে বাজে শাসক আসে। আবার সেই শাসকের পরিবর্তন ঘটানোও সম্ভব। কিন্তু একদলীয় কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের মত পারিবারিক শাসনে এই পরিবর্তন কি সম্ভব? রাষ্ট্র যদি জনগণের হয়, সেই রাষ্ট্র কে, কারা কিভাবে শাসন করবে তাও নির্ধারণ করবে জনগণ।
ট্রাম্প যতই বাইবেল হাতে নিয়ে চার্চে ঘুরুক, সংখ্যাগরিষ্ঠতার দম্ভে যতই সংখ্যালঘুদের তিরস্কার করুক। বর্ণবাদ এবং ধর্মের অপব্যবহার সেতো ক্ষমতাবানের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বিশ্ব ইতিহাসের প্রতিটি পর্বে। এটাই চিরসত্য।



এবারের আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি ও এতে সামনের সারিতে অবস্থান নেওয়া সাদা-কালো-পিঙ্গল-বাদামী সব তারুণ্যের সম্মিলিতে সোচ্চারণে নতুন এক আমেরিকার ইতিহাস রচিত হতে চলছে। এই আমেরিকার নেতৃত্বে বর্তমান তরুণ প্রজন্ম। ট্রাম্পের মত কর্পোরেট রাষ্ট্রপ্রধান ও তাদের সহযোগিরা ঘটনাপ্রবাহকে যতই নিজেদের চশমায় দেখতে অভস্ত্য করানোর চেষ্টা করুক না কেন শেষপর্যন্ত আব্রাহাম লিঙ্কনের কথাই সত্য হবে-
“That this nation, under God, shall have a new birth of freedom – and that government of the people, by the people, for the people, shall not perish from the Earth.” (জগদ্বিশ্বরের অধীন এই জাতি স্বাধীনতাকে নব জীবন দান করেছে – এবং জনগণ দ্বারা নির্বাচিত, জনগণের মধ্য থেকে সৃষ্ট জনগণের সরকার পৃথিবী থেকে বিনষ্ট হবে না কোনোদিন!)” ১৮৩০ সালে তরুণ আব্রাহাম লিঙ্কন এ কথাগুলো বলেছিলেন সিনেটে দাঁড়িয়ে।
তিনি আরোও বলেছিলেন- “Human action can be modified to some extent, but human nature cannot be changed.” মানুষের আকৃতি-প্রকৃতি বদলানো যায় না সত্য। কিন্তু মানুষের একশন অর্থাৎ কার্যপদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা সম্ভব।
নিউইয়র্ক, ৩রা জুন ২০২০