জরুরি ব্যবহারে ডব্লিউএইচও’র স্বীকৃতি পেলো ফাইজারের টিকা

|| বার্তা সারাবেলা/এএফপি ||

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডিব্লউএইচও বলেছে, ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনার টিকা জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যাবে। এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। বৃহস্পতিবার টিকাটির বৈধতার সম্পর্কিত অনুমোদন দেয় ডব্লিউএইচও । ডব্লিউএইচওর এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বব্যাপী টিকাটির আমদানি ও বণ্টনের বিষয়টি দ্রুত অনুমোদনের পথ প্রশস্ত হলো।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য গত ২রা ডিসেম্বর ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এরপর ৮ই ডিসেম্বর দেশটিতে এই টিকার নিতে শুরু করেছেন মানুষ।

পরে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, বাহরাইন, সৌদি আরব, ইউরোপীয় দেশগুলোসহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার অনুমোদন দিয়ে তার ব্যবহার শুরু করে।

এক বছর আগে চীনে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাটিই প্রথম সংস্থার কাছ থেকে জরুরি বৈধতা পেল।

ডব্লিউএইচওর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা মারিয়াঞ্জেলা সিমাও বলেন, করোনার টিকার বৈশ্বিক প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এটি খুবই ইতিবাচক একটি পদক্ষেপ। বিশ্বের সব জায়গায় অগ্রাধিকারে থাকা জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্তসংখ্যক টিকা সরবরাহের জন্য বিশ্বব্যাপী আরও বৃহত্তর প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন ডব্লিউএইচওর এই কর্মকর্তা।

মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মানির প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের তথ্যমতে, তাদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর।

ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অতিশীতল তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। এই টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। ফাইজারের টিকার দুটি করে ডোজ নিতে হয়। দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান তিন সপ্তাহ। গত বুধবার যুক্তরাজ্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকাও অনুমোদন দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে ফাইজার-বায়োএনটেকের পাশাপাশি মডার্নার তৈরি টিকা অনুমোদনের পর তা প্রয়োগ করা হচ্ছে।

রাশিয়া আগেই তাদের তৈরি টিকার অনুমোদন দিয়েছে। তবে তাদের টিকা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে সংশয় আছে। এদিকে, চীনও সাধারণ জনগণের মধ্যে করোনার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। সিনোফার্মের তৈরি টিকা ব্যবহারের অনুমোদন গতকাল বৃহস্পতিবার দেওয়া হয়।

এসব টিকার মধ্যে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকার জরুরি ব্যবহারের বৈধতা দিল ডব্লিউএইচও।

সংবাদ সারাদিন