|| অন্যদেশ ডেস্ক ||
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গোটা ভারতজুড়েই চলছে লকডাউন। প্রথম দফায় ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন করা হলেও পরিস্থিতির অবনতিতে এটি বাড়িয়ে এখন ৩রা মে পর্যন্ত। দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে করোনার অভিঘাত এখন বিস্তর। করোনাদুর্গত এই সময়ে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যাতে ভেঙে না পড়ে তার জন্য নানামূখি পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির কেন্দ্র সরকার।
এসব পদক্ষেপের কিছু জানাতে শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। করোনা পরিস্থিতির শিকার অর্থনীতিকে সচল রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য আর্থিক প্যাকেজ, রিভার্স রেপো রেট কমানোর মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা। তবে তিনি এ দিন জানান, করোনাভাইরাসের জেরে গোটা বিশ্বে যেখানে অর্থনীতি টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে সেখানে জি-২০ দেশগুলোর মধ্যে ভারতের আর্থিক পরিসরের হার সবচেয়ে বেশি।
এসময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান বলেন, যে সব খাতে প্রণোদনা রয়েছে তার মধ্যে এসআইডিবির জন্য ১৫ হাজার কোটি, নাবার্ডের জন্য ২৫ হাজার কোটি, আবাসন শিল্পে ১০ হাজার কোটি এবং মাইক্রো ফিন্যান্সের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
ব্যাংকগুলো যাতে এসব প্রণোদনা সহায়তাসরবরাহ ঠিকভাবে দিতে পারে সেজন্য রেপো হারে কোন পরিবর্তন আনা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি। তবে রিভার্স রেপো ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়েছে। যা এখন ৪ বেসিস পয়েন্ট থেকে কমে দাঁড়াল ৩.৭৫ পয়েন্ট।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকার যে প্যাকেজ ঘোষনা দেওয়া হয়েছে সেটি পরিস্থিতি পর্যালোচনা সাপেক্ষে আরো বাড়তে পারে বলেও জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান। করোনা মোকাবিলায় ব্যাকগুলিতে নগদের জোগান বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান বলেন, করোনা মোকাবিলায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
এদিকে গেল মাসের বেশী সময় ধরে দেশের অর্থনীতির চাকা বন্ধ থাকায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে গাড়ি শিল্প। আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিল- আইএমএফ ইতিমধ্যেই মহামন্দার পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেছে বিশ্ব এই পরিস্থিতিকে। বিশ্বের অর্থনীতি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে আর্থিক বৃদ্ধিতে ধাক্কার আশঙ্কা জানিয়েছে আইএমএফ।
![](https://i0.wp.com/sangbadsaradin.net/wp-content/uploads/2021/08/kabul-airport-attack-270821-01.jpg?fit=300%2C188&ssl=1)