|| বার্তা সারাবেলা ||
জনদূরত্বের বিধিনিষেধ লংঘন করায় ২০ হাজার ক্রোনা জরিমানা গুণতে হলো নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবের্গকে। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে নরওয়ের পুলিশপ্রধান ওলে সায়েবেরাদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে সোলবের্গ পরিবারের ১৩ সদস্যকে নিয়ে পাহাড়ি একটি রিসোর্টে তার ৬০তম জন্মদিন উদ্যাপন করেছিলেন। সেখানেই ওই বিধিনিষেধ লংঘনের ঘটনা ঘটে।
সংক্রমণ মোকাবেলায় দেশটির সরকার কোনো অনুষ্ঠানে ১০ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। টানা দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা রক্ষণশীল রাজনীতিক সোলবের্গ জন্মদিন অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিধিনিষেধ লংঘন করায় গত মাসে ক্ষমা চেয়েছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সাধারণত তারা এ ধরনের বিধিনিষেধ লংঘনের ঘটনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো জরিমানা করে না। কিন্তু সোলবের্গ সংক্রমণ মোকাবেলায় বিধিনিষেধ দেওয়ার সরকারি পদক্ষেপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার বেলায় কোনো ছাড় দেওয়া ঠিক হতো না।
পুলিশ প্রধান সায়েবেরাদ বলেন, “সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধের প্রতি সাধারণ মানুষ যেন আস্থা রাখে তা নিশ্চিত করতেই এ জরিমানা করা হয়েছে।”
পুলিশ বলছে, সোলবের্গ এবং তার স্বামী সিন্ড্রে ফিনস দু’জন মিলেই ফেব্রুয়ারির ওই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছিলেন; কোথায় অনুষ্ঠানটি হবে তাও ঠিক করেছিলেন তারা। আয়োজনের যাবতীয় দায়দায়িত্ব ছিল ফিনসের কাঁধে।
প্রধানমন্ত্রীর স্বামীও কোভিড বিধিনিষেধ লংঘন করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তকে তাকে জরিমানা করা হয়নি। যে রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠানটি হয়েছে জরিমানার হাত থেকে তারাও বেঁচে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর জরিমানা প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে তার কার্যালয়ের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত নরওয়েতে গত কয়েকমাস ধরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে, তুলনামূলক বেশি সংক্রামক ধরনের দাপটের কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত মাসের শেষভাগে ইউরোপের এ দেশটির সরকার বিধিনিষেধ আরও কঠোর করতে বাধ্য হয়েছে।