অনলাইন প্রতিনিধি, সৌদি আরব
সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রবাসীদের নিজ নিজ ভাষায় করোনা রোধে রাষ্টিয় নির্দেশনা প্রচার করার অনুরোধ করেছেন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে। সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশটিতে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার হার এখনো ৫০ শতাংশ। তাই সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে ।
৬ই এপ্রিল বিকেল চারটার পর থেকে ৭ই এপ্রিল বিকেল চারটা পর্যন্ত পাওয়া হিসাবে নতুন করে আরো ২৭২ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এনিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৭ শত ৯৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬শ’ ১৫ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪১ জন।
এখন পর্যন্ত, শতকরা হিসাবে করোনায় মৃতদের মধ্যে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশিদের অসচেতনতা এবং নিজের প্রতি অবহেলাসহ সরকারের নির্দেশনা অমান্যের কারনে আরও বেশি প্রাণহানির আশংকা করা হচ্ছে।
দেশি বিদেশি চারটি সংস্হার গবেষণা উদ্ধৃত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. তৌফিক আল রাবিয়া বলেছেন, আগামি কয়েক সপ্তাহে সৌদি আরবে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ ২ লাখ পর্যন্ত ছাড়িয়ে যেতে পারে। সৌদি সরকার অনেক আগে থেকেই করোনা ভাইরাসের বিস্তাররোধে সম্ভব সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়েছে। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, অনেক আগে থেকেই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি, বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে উপস্হিতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে স্থল, নৌ ও আকাশ পথসহ সব সীমান্ত। পবিত্র দুই মসজিদসহ সব মসজিদ, জনসমাগম, শপিং মল, বিয়ের অনুষ্ঠান, গণপরিবহন, ট্রেন, ট্যাক্সি এবং এক শহর থেকে অন্য শহরে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদির যে সকল অঞ্চলে সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ ছিল, সেসব অঞ্চলে সময় বাড়িয়ে ৮ই এপ্রিল বুধবার থেকে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বহাল থাকবে। আর যেখানে ২৪ ঘণ্টা কারফিউ ছিল সেখানে ২৪ ঘন্টাই বলবৎ থাকবে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, দেশটির সকল প্রদেশে রেস্টুরেন্ট থেকে হোম ডেলিভারি অর্ডার (যে সমস্ত রেস্টুরেন্টের ডেলিভারি দেয়ার অনুমতি রয়েছে) সময়সীমা রাত দশটা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
গ্যাস স্টেশন, সার্ভিস এন্ড মেইন্টেনেন্স প্রতিষ্ঠান, প্লাম্বিং- ইলেক্ট্রিক- এসি টেকনিশিয়ানের কাজ, পানি পৌছানোর কাজে নিয়োজিত কোম্পানি এবং ফিলিং স্টেশনে অবস্থিত যানবাহন মেইনটেনান্স/ সিয়ানা দোকানসমূহ খোলা থাকবে।
কারফিউ শিথিল থাকবে শষ্য (মাজরা), মাছ, ছাগল পালন-উৎপাদন ও পোল্ট্রি ফার্মের সঙ্গে জড়িতদের জন্য। এই খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত মালিকদের প্রতি সপ্তাহে একবার সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কারফিউ আওতামুক্ত পাস নবায়ন করে নিতে হবে।
একইভাবে এরআগে যাদেরকে কাজের স্বার্থে কারফিউর আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল, তারা এসব এলাকায় অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিতভাবে চলাফেরা করতে পারবে।#
![](https://i0.wp.com/sangbadsaradin.net/wp-content/uploads/2021/08/kabul-airport-attack-270821-01.jpg?fit=300%2C188&ssl=1)