|| অন্যদেশ ডেস্ক ||
করোনাদুর্যোগের এই সময়ে ২০ শতাংশ কম বেতন নেবেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডের্ন। আগামী ছয়মাস তিনি এখন যা বেতন পান তার থেকে ২০ শতাংশ কম নেবেন। শুধু তিনি একা নন, তাঁর মন্ত্রিসভার সকল সদস্য এবং দেশের সরকারি দফতরের শীর্ষ পর্যায়ের আমলারাও একইভাবে ২০ শতাংশ কম বেতন নেবেন বলে জানান কিউয়ি এই প্রধানমন্ত্রী।
গেল একদিনের ব্যবধানে দেশটিতে নতুন করে ২০ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরপরই এমন সিদ্ধান্তের কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা। তিনি বলেন, করোনার আর্থিক অভিঘাত মোকাবেলায় তাদের এই সিদ্ধান্ত কিছুটা হলেও অন্যদেরকে উৎসাহিত করবে।
জেসিন্ডা অবশ্য বলেন, ‘আমি মনে করি না এমন সিদ্ধান্তে সরকারের অনেক কিছু পাল্টে যাচ্ছে। কিন্তু এটাই নেতৃত্বের আচরণ হওয়া উচিত।’ এই মুর্হূর্তে নিউজিল্যান্ডের মানুষ যে অসুবিধার মধ্যে পড়েছে তাঁর এই পদক্ষেপ কিছুটা হলেও তাদেরকে স্বস্তি দেবে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জেসিন্ডা এখন প্রতিমাসে বেতন পান ৪ লাখ ৭০ হাজার কিউয়ি ডলার। সেই হিসাবে ছয়মাসে তিনি ৪৭ হাজার কিউয়ি ডলার বেতন ছেড়ে দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরপরই দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা সিমন ব্রিজেসও জানিয়েছেন তিনিও তাঁর বেতনের ২০ শতাংশ ছেড়ে দেবেন। শুধু রাষ্ট্র ও সরকারসংশ্লিষ্টরাই নন, প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ কিউয়ি সরকারের বেতন কম নেবার কর্মসূচিতে সই করেছে।
আরো একধাপ এগিয়ে গিয়ে এসিটি নিউজিল্যান্ড পার্টির নেতা সংসদ সদস্য ডেভিড সেইমোর পার্লামেন্টের সকল সদস্য ও কর্মকর্তাদের বেতন কম নেওয়ার বিষয়টিকে আইন করে বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর এই পদক্ষেপে এগিয়ে আসায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের মানুষ আজকে যে সংগ্রাম করছে সেটা আমরা বুঝতে পারছি। তাই বলছি, রাষ্ট্রের আর্থিক অবস্থানসমূহের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনার এটাই মোক্ষম সময়।#
![](https://i0.wp.com/sangbadsaradin.net/wp-content/uploads/2023/02/BBS.jpg?fit=300%2C225&ssl=1)