|| বার্তা সারাবেলা ||
একসময়ে হারাম বা নিষিদ্ধ হলেও এখন সৌদি আরবেও উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইনস ডে। এ বছর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পরিস্থিতি অন্যরকম হলেও দেশটির তরুণ তরুণীরা নিজেদের মতো করে উদযাপন করছে দিবসটি। প্রিয়জনকে ফুল, চকলেটসহ বিভিন্ন উপহার দিয়ে দিনটি উদযাপনে মেতেছে তারা।
অথচ রাষ্ট্রিয়ভাবে নিষিদ্ধ বা হারাম হওয়ায় চার বছর আগেও দেশটিতে ভালোবাসা দিবস উদযাপন ছিল এককথায় অকল্পনীয়। কেউ কোনভাবে উদযাপন করতে চাইলে তাকে পেতে হতো কঠোর শাস্তি। এ ধরণের কোন উদযাপন ঠেকাতে সচেষ্ট থাকতো দেশটির ধর্মীয় পুলিশ। আইন লঙ্ঘনকারীদের গ্রেফতারের অনুমতিও ছিল এই ধর্মীয় পুলিশের। এ ছাড়া এই দিনটিতে লাল গোলাপ ও চকলেট লুকিয়ে রাখা দোকানিদের জন্য ছিল বাধ্যতামূলক।
তবে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে সাংঘাতিক রকমের রক্ষণশীল এই দেশটিতে। বিশেষ করে যুবরাজ সালমানের কর্তৃত্বে ভালোবাসা দিবসের মতো অনেক পশ্চিমা সংস্কৃতিই এখন স্বীকৃত হচ্ছে দেশটিতে।
২০১৮ সালে মক্কার সদাচার প্রচার ও অনাচার প্রতিরোধ কমিশনের (সিপিভিপিভি) সাবেক প্রেসিডেন্ট শেখ আহমেদ কাশিম আল-ঘামদি ঘোষণা করেন, ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ উদযাপন প্রকৃতপক্ষে ইসলামের শিক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। তার মতে, ভালোবাসার উদযাপন হচ্ছে সার্বজনীন একটি বিষয় এবং এটা শুধু বিশ্বের অমুসলিমদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
সিপিভিপিভি’র সাবেক প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণার পরই দৃশ্যপটে আসতে শুরু করে পরিবর্তন। ভালোবাসা দিবস উদযাপনকারীদের গ্রেফতারের ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয় ধর্মীয় পুলিশের কাছ থেকে। কাগজে-কলমে ভালোবাসা দিবস উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও আইনটি এখন অনেকটাই শিথিল। আইনের এই শৈথিল্যের সুযোগ নিয়ে দেশটির তরুণ-তরুণীরাও গত তিন বছর ধরে ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে মেতে ওঠে ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপনে। আর গত বছর তো সৌদি গণমাধ্যমগুলো মানুষকে ভালোবাসা দিবস উদযাপনে রীতিমতো উৎসাহ দিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ‘ভ্যালেন্টাইড গাইড’ ছেপেছিল দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম আরব নিউজ।
সংবাদসূত্র: আলআরাবিয়া ও আরব নিউজ