অনলাইন ডেস্ক
চীনের উহান থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। বুধবার মধ্য রাতে লকডাউন তুলে নেওয়া হলে আলোকসজ্জা আর আনন্দ উল্লাসে স্বাগত জানায় শহরটির মানুষ। স্থানীয়রা বলছেন, গেল তিনটি মাস আমরা খুবই অসুবিধার মধ্যে ছিলাম। এখন অনেকটাই স্বস্তি লাগছে। তবে এরইমধ্যে অন্য সাতটি প্রদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং।
গেল বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হুবেইয়ের রাজধানী উহানকে সংক্রমিত করে প্রাণঘাতি নভেল করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯। এরপর চলতি বছরের ২৩শে জানুয়ারি থেকে লকডাউন করে দেওয়া হয়ে পুরো উহান। পুরো দেশটির সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় উহানকে। সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয় দেশের । ঘরবন্দি করে রাখা হয় ১ কোটিরও বেশি মানুষকে। খবর বিবিসি, আল জাজিরার।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারি হিসেবে দেখা দেয়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার ঠেকাতে গোটা বিশ্বে একের পর এক দেশ যখন লকডাউন করে দেওয়া হচ্ছে, তখন এর উৎপত্তিস্থল উহানে বুধবার মধ্যরাত থেকে সকল বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। মানুষ এখন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।
এখন থেকে উহানে ট্রেন, সড়কে চলাচলকারী সব ধরনের পরিবহন এবং অন্যান্য রেল সংযোগ পুনরায় চালু করে দেওয়া হয়েছে। উহানের বাসিন্দারা এখন চাইলেই শহর ছেড়ে অন্য যে কোনো স্থানে যেতে পারবেন। তবে শুধু হেলথ অ্যাপের সবুজ সংকেত যারা পাবেন, সেসব সুস্থ বাসিন্দা ও পর্যটকই চলাচল করতে পারবেন।
করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর প্রায় ১১ সপ্তাহ ধরে উহানের ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দারা অবরুদ্ধ ছিলেন। পুরো উহান ছিল অচল আর ভূতুড়ে এক নগরী। বাইরের কেউ শহরটিতে ঢুকতে পারত না। সেখান থেকে কেউ বাইরেও যেতে পারেনি এতদিন। বন্ধ ছিল সব ধরনের যান চলাচল।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর চীনের মূল ভূখণ্ডে ৩ হাজার ৩০০ এর বেশি মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই উহানসহ হুবেই প্রদেশের। এছাড়া প্রায় ৮২ হাজার কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ ৭৭ হাজারের বেশি। করোনা মোকাবিলায় চীন সফল বলেও মনে করা হচ্ছে।#
