|| কলকাতা প্রতিনিধি ||
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে কলকাতায় প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার গাছ পড়েছে বলে দাবি করেছেন কলকাতা পৌরপ্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। এরআগে পৌরসভার তরফে বলা হচ্ছিল, সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো গাছ পড়েছে। তবে পৌর ভবনে ফিরহাদ জানিয়েছেন , বাস্তবে সংখ্যাটা তার তিন গুণ। বড় রাস্তা, ছোট চওড়া রাস্তা এবং অলিগলি মিলিয়ে তিন হাজারেরও বেশি রাস্তা রয়েছে শহরে। প্রতিটি রাস্তায় গাছ পড়েছে।
পৌরসভা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বড় রাস্তার উপরে ভেঙে পড়া গাছ কাটা হয়েছে। তবে এখনও ছোটখাটো বহু রাস্তায় পড়ে রয়েছে গাছ। আপাতত পৌরসভার সিদ্ধান্ত, সেগুলি এখনই কাটা হবে না। বরং বাঁচানোর চেষ্টা করা হবে। এ বিষয়ে ফিরহাদ বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞেরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে পড়া গাছ দেখতে যাবেন। রবীন্দ্র সরোবর, সুভাষ সরোবর, সাদার্ন অ্যাভিনিউ, এস এন ব্যানার্জি রোডে পড়ে থাকা গাছও তাঁরা দেখবেন।
কার্বন ডাই-অক্সাইড টেনে শহরকে অক্সিজেন জোগানোয় বড় গাছের ভূমিকা বেশি। সেটা মাথায় রেখেই গাছ বাঁচানোর চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ।
তিনি বলেন, ‘‘বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে ব্যবস্থা নেবে পৌর প্রশাসন। যে গাছগুলি বাঁচানো যাবে না, পরে সেগুলি কেটে ফেলা হবে। আগামী দু’দিন উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞেরা ওই সব গাছ দেখতে শহরে ঘুরবেন।’’
সূত্রের খবর, উপড়ে যাওয়া গাছগুলি কী ভাবে বাঁচানো যায় তা নিয়ে এবং নতুন গাছ লাগানো নিয়ে ৩০ মে উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ এবং বন দফতরের সঙ্গে বৈঠক করবে পৌরপ্রশাসন।
কলকাতা শহরের পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বিভিন্ন এলাকায় এখনও অনেক জায়গায় গাছ পড়ে যোগাযোগ সমস্যা হচ্ছে। সরকারের তরফে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য।