|| অন্যদেশ ডেস্ক ||
আজই শুরু হচ্ছে মানুষের শরীরে করোনা প্রতিষেধকের পরীক্ষা। এটি করছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইন্সটিটিউট। যারা এর আগে ইবোলার টিকাও বানিয়েছিল।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, করোনার যে টিকা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে যাচ্ছে, সেটি আজ বৃহস্পতিবার মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হবে।
যুক্তরাজ্য সরকার এই টিকা আবিস্কারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলকে ২শ ৪০ লাখ ডলার দিচ্ছে। একই সঙ্গে ইমপেরিয়াল কলেজের আরেক গবেষক দলকে দেওয়া হচ্ছে ২শ’ ২৫ লাখ পাউন্ড। এই কলেজটিতেও চলছে করোনাভাইরাস প্রতিষেধক বানানোর কাজ। এরআগে অবশ্য অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা সফল হলে তারা সেপ্টেম্বর নাগাদ লাখ দশেক টিকা তৈরি করতে পারবেন।
টিকা তৈরির কাজ বেশ দ্রুতই এগোচ্ছে জানিয়ে ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ঠেকাতে তারা সম্ভব সবকিছু করবে। এজন্য টিকার উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতেও সরকার বিনিয়োগ করবে। যাতে পরীক্ষা সফল হওয়ার পর দ্রুত দেশের মানুষের জন্য এটি সহজলভ্য করা যায়।
![](https://i0.wp.com/www.sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2020/04/Hancock-700x418.jpg?resize=395%2C236&ssl=1)
স্বাভাবিক সময়ে এই গবেষণার কাজে কয়েক বছর লেগে যেতো জানিয়ে হ্যানকক বলেন, ‘টিকা তৈরির প্রক্রিয়াটিই এক প্রকার ভুল শুদ্ধের মধ্যে দিয়েই এগোয়। তারপরও গবেষকরা যত দ্রুত কাজটি করছেন তার প্রশংসা না করে উপায় নেই।’
মঙ্গলবার হ্যানকক সরকারের প্রতিদিনকার ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের পরীক্ষার জন্য সুস্বাস্থ্যের অধিকারি এমন বেশ কিছু মানুষকে বাছাই করে রাখা হয়েছে গেল মার্চে। যাদের বয়স ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে।
এরআগে গেল মার্চে জেনার ইন্সটিটিউটের পরিচালক অ্যাড্রিয়ান হিল বলেছিলেন, ‘দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরির এক ব্যতিক্রমি অভিজ্ঞতা তাদের রয়েছে। যেটা তারা অর্জন করতে পেরেছিল ২০১৪ তে ইবোলা ভাইরাসের টিকা আবিস্কারের সময়ে। তবে এবারেও তারা আরো বড় চ্যালেঞ্জে পড়েছেন বলেও জানান হিল।”
সংবাদ সূত্র: মার্কেট ওয়াচ