|| বার্তা সারাবেলা/বিবিসি ||
ধর্ষণের শাস্তি আরো কঠোর করার পাশাপাশি এর বিচার কাজ দ্রুত ও নিশ্চিত করতে নতুন ধর্ষণবিরোধী অধ্যাদেশ জারি করেছে পাকিস্তান। ইতোমধ্যেই অধ্যাদেশটিতে সইও করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। এই অধ্যাদেশের ফলে এখন থেকে যৌন নিপীড়কদের জাতীয় তালিকা তৈরি করা, যৌন অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীদের গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং ক্ষেত্রবিশেষে অপরাধীদের রাসায়নিকভাবে খোজাকরণের মতো পদক্ষেপ নিতে পারবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
শুধু তাই নয়, ধর্ষনমামলা বিশেষ দ্রুত বিচার আদালতে করা হবে, যেখানে চার মাসের মধ্যে রায় দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। লাহোর শহরের উপকণ্ঠে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর জনরোষের মুখে এই নতুন আইন করা হলো দেশটিতে।
একটি মহাসড়কের পাশে দুই ছেলের সামনে ওই নারীকে ধর্ষন করা হয়। লাহোরের পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা ওই ঘটনার পরদিন এক বক্তব্যে বলেন, যে ঘটনার জন্য ওই নারীও আংশিকভাবে দায়ী ছিলেন। যৌন নির্যাতনের ঘটনার পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তার ওই মন্তব্যের পর পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। যার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সরকার ওই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর মন্ত্রিসভা গত মাসে অধ্যাদেশটির অনুমোদন দেয় এবং মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এতে সই করেন। আগামি ১২০ দিনের মধ্যে সংসদে উত্থাপনের মাধ্যমে এটিকে চূড়ান্তভাবে আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে পাকিস্তান সরকার। তত দিন পর্যন্ত অধ্যাদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে কর্তৃপক্ষ।
তবে অনেকেই এই অধ্যাদেশের সমালোচনা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী শাস্তি অতিরিক্ত কঠোর। যৌন নিপীড়কদের শাস্তি হিসেবে আরো কয়েকটি দেশ রাসায়নিকভাবে খোজাকরণ বা ওষুধ ব্যবহার করে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমানোর মতো পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।
সূত্র : বিবিসি।