||সারাবেলা ডেস্ক ||
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্বের অনেক দেশেই এখন করা হচ্ছে র্যাপিড টেস্ট। কিন্তু আপনি কী জানেন যে, এটি কখনোই করোনাভাইরাস নির্ণয়াক কোন পরীক্ষা নয়। হ্যাঁ তাই, এই পরীক্ষার মাধ্যমে করোনাভাইরাস নির্ণয় করা যায় না। চিকিৎসকরা বলছেন, আমরা যে কোন ভাইরাস সংক্রমিত হলে, আমাদের শরীরে সেই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য নিজে থেকেই তৈরি হয় প্রতিরোধ ক্ষমতা। যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় অ্যান্টিবডি।
করোনা সংক্রমণের এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা বলছেন, এই ভাইরাসটি যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানকার কোন মানুষের র্যাপিড টেস্ট করলে জানা যাবে, সেই মানুষটির শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না। যদি অ্যান্ডিবডির অস্তিত্ব পাওয়া যায়, তাহলে ধরে নেওয়া হবে ওই মানুষটির সংক্রমণের শিকার। তাই চিকিৎসকরা এই পদ্ধতিকে সম্ভাব্য কোভিড আক্রান্ত খোঁজার একটি বাছাই প্রক্রিয়া বা স্ক্রিনিং স্টেজ বলেই দাবি করছেন।

এই টেস্ট কীভাবে করা হয়
প্রেগন্যান্সি টেস্টের মতোই এক ধরনের ছোট্ট কিট ব্যবহার করা হয় এই পরীক্ষাতেও। চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীরা হাতের আঙুল থেকে কয়েক ফোঁটা রক্ত নিয়ে ওই কিটে প্রয়োগ করবেন। এর পর নির্দিষ্ট একটি রিএজেন্ট বা রাসায়নিক মেশাবেন তাতে। রিএজেন্ট মেশানোর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই পাওয়া যাবে ফলাফল। পরীক্ষা পদ্ধতি বেশ সহজ ও সরল এবং এতে দ্রুত ফলাফল পাওয়া বলেই সংক্রমণ ঠেকাতে একে বেশ কার্যকরী বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।#