বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ইমু’র ঘরে নতুন অতিথি

গত রোববার ২০শে ডিসেম্বর সকালে ইমু পাখির ডিম ফুটে একটি বাচ্চা হয়েছে। আর এই বাচ্চাটিকে ঘিরেই ইমুর সংসারে বইছে আনন্দের বন্যা।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর ||

গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ইমু পাখির বাচ্চা হয়েছে। রোববার ২৭শে ডিসেম্বর দুপুরে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি জানায়। সাফারি পার্ক সূএে আরো জানা যায়, গত রোববার ২০শে ডিসেম্বর সকালে ইমু পাখির ডিম ফুটে একটি বাচ্চা হয়েছে। আর এই বাচ্চাটিকে ঘিরেই ইমুর সংসারে বইছে আনন্দের বন্যা। এদিকে ইমু পাখির ডিম ফুটে ছানা হওয়ার ঘটনা এই নিয়ে সাফারি পার্কে দ্বিতীয়বারের মতো। রোববার ২০শে ডিসেম্বর বাচ্চার জন্ম হলেও নিরাপত্তা বিবেচনার কারণে বিষয়টি সাতদিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হলো।

এদিকে সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম পাখি হলো ইমু। বন্য পরিবেশে দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও এদের বসবাস অস্ট্রেলিয়াতেও রয়েছে। পার্ক প্রতিষ্ঠাকালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে একটি পুরুষ ইমু ও দুটি নারী ইমু পার্কে আনা হয়েছিলো। গত ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পার্কে চারটি ইমু ছানার জন্ম হয়। নতুন জন্ম নেয়া ছানাসহ বর্তমানে পার্কে ইমু পাখির সংখ্যা এখন আট।

সম্প্রতি একটি নারী ইমু পাঁচটি (৫) ডিম পাড়ার পর পুরুষ ইমু পাখিটি ডিমে তা দিতে শুরু করে। তা থেকে গত ২০শে ডিসেম্বর রোববার সকালে একটি বাচ্চা ফুটে বের হয়েছে। বাকি ডিমগুলো থেকে আরো বাচ্চা হওয়ার সম্ভবনা দেখছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ।

আনিসুর রহমান আরো জানান, সমতল তৃণভূমি বা খোলামেলা বন জঙ্গলে এরা সাধারণত বসবাস করে। এরা যাযাবর শ্রেনীর অন্তর্ভূক্ত। ইমুরা পাখি হলেও এরা উড়তে পারেনা। তবে প্রতি ঘন্টায় এরা ৪০ মাইল বেগে দৌঁড়াতে পারে। এরা দক্ষ সাতারুও বটে। স্বভাবে এরা বেশ শান্ত ও উৎসুক প্রকৃতির।

ইমু সাধারণত ৬ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয় এবং সর্বোচ্চ ৬০-৬৫ কেজি ওজন হয়ে থাকে। তবে ডিম দেয়ার সময় হলেই এরা বাসা তৈরি করে থাকে। মা ইমু ডিম দেয়ার পর পুুরুষ ইমু ডিমে তা দেয়া শুরু করে। এই সময় তারা ডিমে তা দেয়া ছাড়া অন্য কোথাও যায় না, এমনকি কোন ধরণের খাওয়া-দাওয়াও করেনা। এদের প্রধান খাবার হলো-গাছপালা,ফলমূল ও পোকা-মাকড়।

সংবাদ সারাদিন