দুর্ভোগে শেষ হলো ধর্মপাশার মেলা ও পূজা-অর্চণা

এখানে কোনো বিশ্রামাগার না থাকার কারণে প্রচন্ড রোদে কষ্ট করতে হয় ভক্ত-দর্শনার্থীদের। এছাড়া খাবার পানির খুবই সংকট। ভালো জলাশয় বা পুকুর না থাকায় ময়লা ডোবাতেই পূণ্যস্নান সারতে হয়। স্যানিটেশনের ব্যবস্থা না থাকায় বিশেষ করে নারীদের পড়তে হয় চরম বিপাকে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ ||

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী গ্রামীন মেলা ও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখো দর্শনার্থী এসেছেন। কিন্তু দূর্গম ও অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা আর থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে ভক্ত-দর্শনার্থীদের।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত উপজেলার মধ্যনগর থানার চামরদানী ইউনিয়নের কাহালা গ্রামে কালীপূজা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী এই গ্রামীন মেলা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই মেলায় লাখো মানুষের সমাগম ঘটে।

তবে মনোবাসনা পূর্ণ হবে এমন বিশ্বাস নিয়ে দূর দূরান্ত থেকে হিন্দুধর্মালম্বীরা এখানে কালীপূজা করতে আসেন। এ উপলক্ষে মেলায় বসে শত দোকানপাট।

কালীপূজা কমিটির সভাপতি অজয় তালুকদার বাপ্পী বলেন, এখানে কোনো বিশ্রামাগার না থাকার কারণে প্রচন্ড রোদে কষ্ট করতে হয় ভক্ত-দর্শনার্থীদের। এছাড়া খাবার পানির খুবই সংকট। ভালো জলাশয় বা পুকুর না থাকায় ময়লা ডোবাতেই পূণ্যস্নান সারতে হয়। স্যানিটেশনের ব্যবস্থা না থাকায় বিশেষ করে নারীদের পড়তে হয় চরম বিপাকে। তাই এখানে ১টি নলকুপ ও ১টি পুকুর খনন করাসহ বৃক্ষরোপন খুবই জরুরী।

মধ্যনগর থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ কান্তি সরকার বলেন, মধ্যনগর থেকে কাহালো পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ উন্নত করা হলে এলাকার মানুষসহ মেলা ও পূজায় আসা ভক্ত-দর্শনার্থীদের দীর্ঘদিনের কষ্ট ও দূভোর্গ লাঘব হতো। তাই এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি চাইছি।

সংবাদ সারাদিন