|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা ||
হয়তো গাইবান্ধা জেলার সবচেয়ে বড় কোরবানির পশু যুবরাজ। চার বছর বয়সের যুবরাজের ওজন ২৭ মণ। কালো রঙের দৃষ্টিনন্দন যুবরাজের দাম হাঁকা হচ্ছে ৯ লাখ টাকা। অনেকেই আসছেন যুবরাজকে একনজর চোখের দেখা দেখতে।
কোরবানির ঈদে বিক্রি হবে যুবরাজ। ওকে কিনতে আসছেন দেশের নানা প্রান্তের ক্রেতা। তবে অন্য অনেক কিছুর মতই যুবরাজের দাম দরে পড়েছে করোনার অভিঘাত। কোনো ক্রেতাই কাঙ্ক্ষিত দাম না বলায় যুবরাজকে নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন খামারি বাদল খন্দকার।
যুবরাজের মালিক বাদল খন্দকার বলেন, বাড়িতে পালন করা ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী থেকে যুবরাজের জন্ম। জন্মের পর এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে সবার নজর কাড়ে যুবরাজ। যুবরাজের বয়স এখন প্রায় চার বছর। ওজন হয়েছে ২৭ মণ। যুবরাজকে বিক্রি করা নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি। আশা করেছিলাম, অন্তত ১০ লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে। কিন্তু করোনাকালে কেউ কাঙ্ক্ষিত দাম করছে না।
নজরকাড়া কালো রং আর বিশাল শরীরের যুবরাজকে পরম যত্নে বড় করেছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শৌখিন খামারি বাদল খন্দকার। যেমন নাম তার তেমনি আচরণ, রোদে যেতে পারে না। দিনের বেশিরভাগ সময় ফ্যানের নিচে রাখতে হয়। খাওয়ার তালিকাতেও রুচির পরিচয় দিয়েছে যুবরাজ। স্বাভাবিক খাবারের সঙ্গে দিতে হয় কলা, ছোলা ও মুসুর ডাল। প্রতিদিন যুবরাজের খাবার জন্য ব্যয় হয় সাড়ে তিন থেকে চার শ’ টাকা।