বার্তা সারাবেলা
বন্ধুত্ব তাও আবার ওরাংওটাং আর ভোঁদড়ে। হ্যাঁ এমনি এক বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে ওরাংওটাং উজিয়ানের পরিবারের সঙ্গে ওদেরই বাড়ির পাশের নদীতে থাকা এশিয়ান ছোট প্রজাতির ভোঁদড় পরিবারের মধ্যে। ওরা থাকে বেলজিয়ামের পাইরি ডেইজার চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে। ২৪ বছর বয়সী ওরাংওটাং উজিয়ানের পরিবারে রয়েছে তার ১৫ বছর বয়সী ‘জীবনসঙ্গী’ সারি আর তাদের তিন বছরের ছেলে বেরানি। আর ভোঁদড়তো বেশ অনেক কয়েকটি। ওরাংওটাংয়ের সঙ্গে খেলাধুলা করে ভালোই সময় কাটে ভোঁদড়গুলোর।
আমরা ওরাংওটাংকে চিনি বনমানুষ বলে। আশেপাশে মানুষ কিংবা অন্য কোনো প্রাণী বিপদে পড়লে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ‘মানবিক’ গুণ আছে এই প্রাণীর। মানুষেরও শিখবার রয়েছে ওদের কাছ থেকে। বেলজিয়ামের পাইরি ডেইজার চিড়িয়াখানার ওরাংওটাং পরিবার এশিয়ান ভোঁদড়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে দেখিয়ে দিয়েছে বন্ধুত্ব কাকে বলে।
বার্তা সংস্থা সিএনএন বলছে, বেলজিয়ামের হাইন্যু প্রদেশে বেসরকারি পাইরি ডেইজা চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে রয়েছে চার হাজারেরও বেশি প্রাণী। এদের মধ্যে ওরাংওটাং ও ভোঁদড় পরিবারগুলো কাছাকাছি এলাকায়। পার্থক্য এটুকুই ওরাংওটাং ডাঙায় আর ভোঁদড় নদীতে।
চিড়িয়াখানার মুখপাত্র ম্যাথু গডফ্রয় জানান, ওরাংওটাংগুলো সারাক্ষণই খেলাধুলা ও দুষ্টুমি করে নিজেদের ও প্রতিবেশীদের চাঙ্গা রাখে। গডফ্রয় বলেন, নদী থেকে ওরাংওটাংদের বাড়িতে এসে ওদের সঙ্গে খেলাধুলা করে সময় কাটাতে বেশ ভালোবাসে ভোঁদড়গুলো। তার দাবি, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সত্যিকার অর্থেই এক মধুর ও জোরাল সম্পর্ক গড়ে তুলেছে উজিয়ান পরিবার।
তিনি বলেন, জল ও স্থলভাগের দুই প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে এমন বন্ধুত্ব প্রাণী নিয়ে গবেষণা করতে কর্তৃপক্ষকে বেশ সাহায্য করছে।
ওই চিড়িয়াখানায় ওরাংওটাং পরিবারটি এসেছে ২০১৭ সালে। এখানে দুই সদস্যের আরও এক ওরাংওটাং ‘দম্পতি’ থাকে। পুরুষটির নাম জেম্পা; নারীটি সিন্টা। তবে ওই পরিবারের চেয়ে বরং উজিয়ান পরিবারের সঙ্গেই ভোঁদড়গুলোর বেশি খাতির।
![](https://i0.wp.com/sangbadsaradin.net/wp-content/uploads/2021/08/old-woman-1-584x900-1.jpg?fit=300%2C150&ssl=1)