|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম ||
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। সঠিক দাম মিললে লাভবান হবে কৃষকরা। কিন্তু বর্তমান বাজারে যে দামে গম বিক্রি হচ্ছে তাতে লাভের মুখ দেখছেন না তারা। এতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, এ বছর গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯০০শ’ হেক্টর জমিতে। কিন্তু গমের আবাদ হয়েছে ৭১০ হেক্টর জমিতে। এরই মধ্যে গম কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে, ঘরে উঠতে শুরু করেছে নতুন গম। এ বছর প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ মণ করে গমের ফলন হয়েছে। ফলন বেশী হওয়ায় কৃষিকর্মকর্তারা বেশ খুশি। কিন্তু বাজার ভালো না হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচও না ওঠার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষক।
সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের দাগারকুটি গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৫০) ও মিলন মিয়ার (৩৫) সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা কৃষি অফিস থেকে বীজ ও সার পেয়েছেন। এ বছর ফসলে পোকামাকড়ের উপদ্রবও অনেক কম হওয়ায় ভাল ফলন হয়েছে। তবে বাজারের যে অবস্থা তাতে করে সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে বেশ শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
তবকপুর কাগলডাঙ্গার চাষী নজরুল ইসলাম (৪০) বলেন, এই প্রথম গম আবাদ করেছি, ফলন ভাল হয়েছে। ন্যায্য মূল্য পেলে গম চাষে আগ্রহ বাড়বে চাষীদের।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, মাঠে সুষ্ঠু তদারকি ও কৃষকদের ভাল গম উৎপাদনে পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছেন কৃষি অধিদপ্তর। গম চাষ বাড়নোর জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এবং কৃষকদেরকে প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমের ভাল ফলন হয়েছে। এ বছর ২ হাজার ৪শ’ ৮৫ মেট্রিক টন গম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।