|| সারাবেলা প্রতিনিধি, বেনাপোল, যশোর ||
যশোরের শার্শা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মুখিকচুর ফলন ভাল হলেও ভালো নেই কৃষক। বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম পড়ে গেছে। তাতে করে দাম পাচ্ছে না কৃষক।
ধানের দাম পড়ে যাওয়া মুখি আবাদে নামেন উপজেলার কৃষক। আবহাওয়া এবং পরিবেশের কারনে শার্শা অঞ্চলের মাটি মুখিকচু চাষের জন্য উপযোগী। মুখিকচু একটি উচ্চ ফলন শীল ও অধিক লাভের ফসল। আবহাওয়া ভাল থাকায় এবার ফলনও হয়েছে বাম্পার। প্রতি বিঘা জমিতে ৭০ থেকে ৮০ মন করে মুখিকচু উৎপাদন হয়েছে। খোলা বাজারে প্রতি কেজি মুখিকচু বিক্রি হচ্ছে ৪০/৪৫ টাকা কেজি দরে। অথচ কৃষক পাচ্ছে ১৮/২০ টাকা।
দাম না পাওয়ার জন্য মধ্যস্বত্বভোগিদের দায়ি করে কৃষকরা চাইছেন, উপজেলায় একটি সবজি কালেকশন সেন্টার করা হোক। এখান থেকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ ট্রাক মুখিকচু দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল বলেন, এবছর শার্শায় ৮০ হেক্টর জমিতে মুখিকচুর আবাদ হয়েছে। যা কৃষকরা তুলতে করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষকদেরকে যাবতীয় পরামর্শ ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে সহযোগিতা করা হচ্ছে। যাতে করে ভবিষ্যতে শার্শায় আরও বেশি কচুরমুখি আবাদ হয়।