জামালগঞ্জে একসঙ্গে তিন ফসলি চাষে দেলোয়ারের চমক

কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথমে টমেটো চাষ করেন তিনি। পরে ক্ষেতে টমেটো ধরা শুরু করলে করলা ও চিচিঙ্গা এবং বরবটি রোপণ করেন। এই জমি থেকে কৃষক টমেটো বিক্রি করেছেন প্রায় লক্ষাধিক টাকার। যা খরচের চেয়েও বেশি এবং অন্যান্য ফসলও লাখ টাকার উপরে বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) ||

একই সঙ্গে একই জমিতে তিন ফসলের চাষ করে চমক দেখালেন কৃষক দেলোয়ার সিকদার। সেই সাথে তিন ফসলের চাষ করে আর্থিকভাবেও লাভবান হয়েছেন তিনি। সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার নূরপুর গ্রামের দেলোয়ার সিকদার তার বাড়ির পাশের এক বিঘা জমিতে টমেটো, করলা ও চিচিঙ্গা চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে টমেটো তুলেছেন তিনি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই করলা ও চিচিঙ্গা বাজারে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

কৃষক দেলোয়ার সিকদার জানান, বাড়ির বিচরাসহ তার দেড় বিঘা জমি আছে। এতে বাড়ির সামনের এক বিঘা জমিতে টমেটো চিচিঙ্গা ও করলা চাষ করেছেন। এর মধ্যে জমি থেকে টমেটো তুলে বাজারে বিক্রি করেছি। চাষে যে টাকা খরচ হয়েছে তা টমেটো থেকেই উঠে গেছে। বাড়ি এবং সাচনা-রামনগর রাস্তার পাশে ওই জমিতে তিন ধরনের ফসল এলাকার লোকজনের কাছে চমক সৃষ্টি করেছে। রাস্তায় যে কেউ দাঁড়িয়ে একনজর দেখে যান দেলেয়ারের এই ক্ষেত খামার।

জামালগঞ্জ কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইসহাক মিয়া জানান, তারা দেলোয়ারের এই উদ্যোগে সার্বিক পরামর্শ ও সহায়তা দিয়েছন। একই জমিতে তিন ধরনের ফসল চাষে সিকদারের সাফল্য ও লাভবান হওয়ার নজির দেখে আগামীতে অনেকেই এই পদ্ধতিতে চাষআবাদে ঝুঁকবেন বলে আশা করছেন তারা।

সরজমিনে গিয়ে কৃষক দেলোয়ারের সাথে আলাপ করে জানা যায়, কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথমে টমেটো চাষ করেন তিনি। পরে ক্ষেতে টমেটো ধরা শুরু করলে করলা ও চিচিঙ্গা এবং বরবটি রোপণ করেন। এই জমি থেকে কৃষক টমেটো বিক্রি করেছেন প্রায় লক্ষাধিক টাকার। যা খরচের চেয়েও বেশি এবং অন্যান্য ফসলও লাখ টাকার উপরে বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাশরেফুল আলম বলেন, সবজি চাষে কৃষকরা অধিক লাভবান হতে পারেন। কারণ অন্যান্য ফসলের তুলনায় সবজি চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম লাগে। রোগবালাই তেমন হয় না। একই জমিতে একই সাথে মূল ফসলের সাথে সাথী ফসল চাষ করে দ্বিগুণ লাভ পাওয়া সম্ভব। এভাবে সবাই যদি দেলোয়ারের মতো কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে একই জমিতে তিন ধরনের সবজি চাষ করেন তাহলে অনেকেই লাভবান হবেন। এছাড়া পুষ্টির চাহিদা ও ঘাটতি অনেকাংশে কমে যাবে। এ বিষয়ে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।

সংবাদ সারাদিন