অনাবৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে রামপালের কৃষি ও চিংড়ি শিল্প

বেশ কিছুদিন ধরে চলমান তাপদাহের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টির দেখা মিলেছে রামপালে। এদিনের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও মেঘাচ্ছন্ন আকাশ কয়েক ঘন্টার জন্য স্বস্তিদায়ক হয়েছিল

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, রামপাল (বাগেরহাট) ||

বেশ কিছুদিন ধরে চলমান তাপদাহের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টির দেখা মিলেছে রামপালে।  এদিনের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও মেঘাচ্ছন্ন আকাশ কয়েক ঘন্টার জন্য স্বস্তিদায়ক হয়েছিল রোজাদার, দিনমজুরসহ সাধারণ মানুষের কাছে। বৃষ্টির কিছুক্ষণ না যেতেই আবারো প্রচন্ড রোদে উত্তাপ ছড়িয়েছে। বৃষ্টির জন্য রমজানে রামপালের পেড়িখালীসহ বিভিন্ন এলাকার মসজিদে দোয়া করছেন মুসল্লিরা।

অবশেষে বৃষ্টি হয়েছে ঠিকই, তবে পরিমাণে খুব একটা বেশি নয়। যতটুকু হয়েছে তাতে রাস্তার কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। 

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২/৪ দিনে বৃষ্টি না হলে ব্যাপক ক্ষতি হবে রামপালের কৃষি ও চিংড়ি শিল্পে। কারণ গরমে মাঠে শুকিয়ে যাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি। ঘেরের পানি শুকিয়ে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় মারা যাচ্ছে চিংড়ি মাছও। 

রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃঞ্চা রানী মন্ডল বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার উজলকুল ও ফয়লায় গুড়ি গুড়ি সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। তা ফসলের কোন উপকারে আসবেনা। দুই একদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত না হলে ফসলের ক্ষতিসহ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে কৃষকদের। 

রামপাল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ বলেন, এ উপজেলায় বাগদা ও গলদা মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার ঘের রয়েছে। প্রচন্ড রোদের ঘেরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে গেছে। ফলে ঘেরগুলোতে মাছ মরছে। তাই ঘেরের পানি বৃদ্ধিও জন্য চাষীদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। 

সংবাদ সারাদিন