|| আনন্দ সারাবেলা প্রতিবেদক ||
নন্দিত বাচিকশিল্পী শিমুল মুস্তাফার জন্মদিন আজ। কণ্ঠের মাধুর্যতা নিয়ে এরই মধ্যে জয় করেছেন কোটি-কোটি শ্রোতা-দর্শকের হৃদয়। শুধু আবৃত্তি শিল্পীই নন তিনি। সাথে সাথে একজন কবি ও একজন দেশপ্রেমিকও। বিভিন্ন আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন আবৃত্তিকে।
শিমুল মুস্তাফা ১৯৬৫ সালের রাজধানীর ঢাকাতে জন্ম নিয়েছেন। বাবা প্রয়াত খান মোহম্মদ গোলাম মুস্তাফা এবং মা আফরোজ মুস্তাফা। দুজনেই ছিলেন চারুকলার মানুষ। ছোটবেলা থেকেই শিল্পমনা পারিবারিক আবহে বেড়ে উঠেছেন শিমুল মুস্তাফা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন সময়েই আবৃত্তিচর্চা শুরু করেন শিমুল মুস্তাফা।এরপর আবৃত্তি হয়ে উঠে তার কাছে নেশা। আশির দশকের শুরু থেকেই তিনি জড়িয়ে পড়েন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে। কণ্ঠে দুর্বার আওয়াজ তোলেন। তার দুঃসাহসী কণ্ঠ আজও ভয়হীন। একজন দুরন্ত, দুর্নিবার এবং চির আপসহীন মানুষ তিনি। শিমুল মুস্তাফার মতে, ‘আবৃত্তি কণ্ঠের শিল্প নয়, মস্তিষ্কের শিল্প। মস্তিষ্ক দিয়েই আবৃত্তি হয়। কণ্ঠ কেমন সেটা দেখার বিষয় নয়, আমার মস্তিষ্কে যে বোধ এবং দৃশ্যপট তৈরি হচ্ছে, সেটাই কণ্ঠ দিয়ে ছেড়ে দেই’
১৯৮৬ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি শিমুল মুস্তাফার হাত ধরে শুরু হয় আবৃত্তি শিল্পীদের প্রাণের সংগঠন বৈকুণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমি। একক আবৃত্তি, বৃন্দ আবৃত্তি, দলীয় আবৃত্তি প্রযোজনার মাধ্যমে বৈকুণ্ঠ নিয়মিত আবৃত্তিক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে । এই দীর্ঘ সময়ের পথচলায় সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সংগঠনটি অর্জন করেছে কোটি মানুষের ভালবাসা। প্রতি বছরে শিমুল মুস্তাফার একক ৭১টি আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠণটি। যেখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজারও মানুষ ছুটে আসে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরবোরে।
নতুন আবৃত্তি শিল্পী গড়ে তুলতে সংগঠনটি বছরে ২টি আবৃত্তি ও বাচিক কর্মশালা আয়োজন করে, এই কর্মশালায় পাঠদান করান আবৃত্তিকার শিমুল মুস্তাফা নিজেই। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তির কল্যানে নিয়মিত আবৃত্তি ও বাচিক কর্মশালার মাধ্যমে গড়ে তুলছেন নতুন নতুন আবৃত্তিশিল্পী।
বরেণ্য আবৃত্তিকার শিমুল মুস্তাফার জন্মদিনে সংবাদ সারাবেলা পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক শুভেচ্ছা রইল। তিনি যেন বেঁচে থাকেন সুস্থ সবল হয়ে।